খড়্গপুরে ক্রিকেটারদের ছবির পুরোভাগে মমতা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
চলচ্চিত্র তারকা হোক বা সঙ্গীত শিল্পীর সমাহার, হাজির থাকলে তিনিই মধ্যমণি। খেলার মাঠে যখন যান, তখনও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তিনিই। এ বার দেশের ক্রিকেট নক্ষত্রদের ছবির সারিতেও একেবারে সামনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভা শীতের মরসুমে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে রেলশহরের বিএনআর ময়দানে। সেখানেই সচিন-সৌরভ-ধোনি-বিরাটদের ছবির সারিতে পুরোভাগে রয়েছে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দু’টি ছবি। এ নিয়ে নানা মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ কটাক্ষও করছেন। তবে পুর-কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানান, মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী। ক’দিন আগে বীরভূম সফরে তাঁকে ব্যাডমিন্টন খেলতেও দেখা গিয়েছে। ক্রীড়া জগতের উন্নয়নে তিনি সব সময় সচেষ্ট। সে কথা মনে রেখেই ক্রিকেট নক্ষত্রদের পুরোভাগে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রাখা হয়েছে।
বিএনআর ময়দানে এক সময় খেলে গিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তিনি তখন রেলশহরের বাসিন্দা, সকলের প্রিয় মাহি। সেই মাঠেই গত ২৭ জানুয়ারি থেকে চলছে ‘চেয়ারম্যানস্ ট্রফি’। প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি দল ও পুরপ্রধান একাদশকে নিয়ে এই টুর্নামেন্ট চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেই উপলক্ষে হয়েছে তৈরি হয়েছে মস্ত নীল-সাদা মঞ্চ। সেখানেই জ্বল-জ্বল করছে সচিন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিরাট কোহলি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি। তবে সবার আগে, সব থেকে উজ্জ্বল মমতার ছবি।
আরও পড়ুন: একারই সাতটি বই! মেলা শুরু থেকে মমতাময়
শহরের ক্রিকেটার তথা কোচ রাকেশ সেনের মতে, “মুখ্যমন্ত্রী এবং ওই সব ক্রিকেটাররা নিজ-নিজ ক্ষেত্রে বিশিষ্ট। তবে দু’টি জগৎ একেবারে আলাদা, তাদের গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। ছবিটা তাই বেমানান ঠেকছে।” খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না খড়্গপুরের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তো সর্বত্র ছড়াছড়ি।’’ এ ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সামনে রেখে ওই সব ক্রিকেট নক্ষত্রদের অপমান করা হয়েছে বলেও মত দিলীপের।
খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার অবশ্য এতে অসুবিধার কিছু দেখছেন না। কেকেআরের খেলা দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মাঠে পৌঁছে যান, তিনি খেলাশ্রী থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের চাকরি দিচ্ছেন, ক্যাম্পগুলির উন্নতির চেষ্টা করছেন মনে করিয়ে প্রদীপ বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর থেকে বড় ক্রীড়াপ্রেমী কমই রয়েছেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় খেলা হচ্ছে। তিনি নিজেও ব্যাডমিন্টন খেলেছেন। এমন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ক্রিকেটারদের থেকেও আগে রাখা উচিত বলেই মনে করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy