Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
CPM

পাল্টা চিঠি নয়, বিকাশ অধ্যায় আপাতত ধামাচাপা দিতেই চাইছে আলিমুদ্দিন

পাল্টা চিঠি নয়, বিকাশ অধ্যায় আপাতত ধামাচাপাই দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২১ ২০:০৫
Share: Save:

পাল্টা চিঠি নয়, বিকাশ অধ্যায় আপাতত ধামাচাপাই দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট। রবিবার সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের একটির ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, এই দীর্ঘ পোস্টে একাধিকবার সাঁইবাড়ির কথা উল্লেখ করে ‘কংগ্রেসি গুন্ডা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন বিকাশ। সঙ্গে কংগ্রেসি গুন্ডাদের হাতে সিপিএম নেতা-কর্মীদের হত্যার কথা ফলাও করে লিখেছেন তিনি। তাঁদের আরও দাবি,সিপিএমের এই আইনজীবী নেতার পোস্ট জোটধর্মের পরিপন্থী। তাই বিকাশের পোস্টের বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেসের আহ্বায়ক নিলয় প্রামাণিক ও চেয়ারম্যান সৌম্য আইচ রায় একযোগে প্রতিবাদপত্র দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে। তাঁর পোস্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সূর্যকান্তকে ফোন করেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। এমতাবস্থায় পাল্টা চিঠি দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও সংঘাতে জড়াতেই চাইছে আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট।

অস্বস্থি ঝেড়ে ফেলতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেছিলেন,‘‘সোশাল মিডিয়ায় কে কী পোস্ট করেছে জানি না। আমরা এখন এই মুহূর্তে বিতর্কে ঢুকতে চাই না। এখন বিতর্কের সময় নয়।’’ সূত্রের খবর, তাঁর পোস্ট নিয়ে রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা যখন বিকাশকে প্রশ্ন করেছেন, সাফাই দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, কেউ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি শেয়ার করে দিয়েছেন। কিন্তু এমন উত্তর পেয়েও সন্তুষ্ট নন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। কারণ, ‘বিতর্কিত পোস্ট’-টি এখনও রয়ে গিয়েছে বিকাশের অ্যাকাউন্টে।যদি ভুলবশতই তা পোস্ট করা হত, তাহলে বিকাশবাবু অবশ্যই পোস্টটি ‘ডিলিট’ করে দিতেন। যদিওবিকাশ বলেছেন,‘‘কংগ্রেসের কেউ আমার পোস্টে দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখিত।’’ তাতেও রাজ্য কংগ্রেসের নেতা-কর্মীমহলে ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। বরং তাঁদের দাবি, এ প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক রাজ্য সিপিএম।

ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরাও ৩৪ বছরের বাম জমানায় সিপিএমের হাতে খুন হয়ে যাওয়া একাধিক ঘটনার কথা তুলে ধরছেন নেটমাধ্যমে। সেই সমস্ত পোস্টে কোথাও উঠে এসেছে, হাওড়া আমতার কান্দুয়ায় কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ায় হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হয়েছিল। আবার ৮০-র দশকের শেষের দিকে শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অসমঞ্জ দে-র খুনের ঘটনার কথাও উঠে এসেছে। আর এমন পরিস্থিতিই এ়ড়িয়ে যেতে চাইছে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন। কারণ, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা শূন্য হয়ে গিয়েছে বামেরা। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙতে বা জোট ভাঙার দায় নিতে চাইছেন না তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে ‘পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে’ রাজনৈতিক ভাবে বিপদ বাড়তে পারে সিপিএমের। এমতাবস্থায়, বিকাশ বিতর্ক ধামাচাপাই দিতে চাইছেন সূর্যকান্ত- বিমান বসুরা।

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Bikash Ranjan Bhattacharya PCC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy