কথা হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন নিয়েও। প্রকাশ্যে সেলিম অবশ্যে বলেছেন, তাঁর দলের নেতা বুদ্ধবাবুর কাছে তিনি প্রায়শই গিয়ে থাকেন, এর মধ্যে বলার মতো কিছু নেই।
প্রতীকী ছবি।
রামপুরহাটে রাতভর তাণ্ডবে ঘরে আগুন এবং অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার পরে বগটুই গ্রামে গিয়ে একটি বিশাল বাড়ির ছবি প্রকাশ্যে এনেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তৃণমূল কংগ্রেসের যে উপ-প্রধানের খুনের ঘটনার জেরে বগটুই-কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ, সেই নিহত নেতা ভাদু শেখের বাড়ি ছিল সেটি। তার পরেই সামনে আসে ওই ঘটনায় ধৃত তৃণমূলের আর এক নেতা আনারুল হোসেনের বাড়ির ছবি। বীরভূমের এই ঘটনার সূত্র ধরে এ বার রাজ্য জুড়়ে স্থানীয় স্তরের শাসক দলের নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের ‘সাম্রাজ্যে’র ছবি সামনে এনে প্রচার শুরু করছে সিপিএম। দার্জিলিঙে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন দুর্নীতি বা অন্যায়ের ঘটনা দেখলে মিস্ড কল দিয়ে অভিযোগ জানানোর কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, সে দিনই কলকাতায় তাঁদের দলের পাল্টা কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তৃণমূল অবশ্য এমন কর্মসূচিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে।
জেলা থেকে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে সামাজিক মাধ্যমে শাসক দলের নেতাদের সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রচার চালাবে সিপিএমের সোশ্যাল মিডিয়া টিম। প্রথমে নিজেরা শুরু করে দেওয়ার পরে স্থানীয় মানুষও তথ্য নিয়ে এগিয়ে আসবেন বলে সিপিএম নেতৃত্বের আশা। এই প্রচার কর্মসূচির প্রথম ধাপ রবিবারই শুরু হয়েছে স্বয়ং রাজ্য সম্পাদকের ফেসবুক পেজে। আলিমুদ্দিনে সেলিম এ দিন বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত স্তর থেকে এর মধ্যে কাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, তাদের বাড়ি, ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার ছবি আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরব। প্রশ্ন তুলব, এই আয়ের উৎস কী? কাদের টাকায় হচ্ছে এ সব?’’
সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, বাম জমানার শেষ দিকে জঙ্গল মহলে দলের নেতা অনুজ পাণ্ডের বাড়ির ছবি সংবাদমাধ্যমে আসার পরে হইচই পড়েছিল। কিন্তু বৈভবে এখনকার জমানা তার চেয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। কয়েক বছর আগে নন্দীগ্রামে গিয়ে তৃণমূলের নেতা শেখ সুফিয়ানের ‘জাহাজ বাড়ি’ দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেও গ্রামে গ্রামে যে ভাদু শেখেরা তৈরি হয়েছেন, সেই কথাই প্রচারে আনতে চায় সিপিএম। সেলিমের মন্তব্য, ‘‘আমাদের লোকজন তথ্য সংগ্রহ করছে। মানুষও আমাদের তথ্য দেবেন, আশা করি।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘সিপিএম আগে ৩৪ বছরে নিজেদের নেতা, মন্ত্রীদের বাড়ি-গাড়ি-সম্পত্তির হিসেব দিক! বাংলার মানুষ দেখেছে, কী ভাবে গোটা রাজ্যে তারা ফুলেফেঁপে উঠেছে। আজ তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে নিজেদের কৃতকর্ম ভোলানো যাবে?’’
রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পরে এ দিনই সন্ধ্যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউয়ের আবাসনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেলিম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। কথা হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন নিয়েও। প্রকাশ্যে সেলিম অবশ্যে বলেছেন, তাঁর দলের নেতা বুদ্ধবাবুর কাছে তিনি প্রায়শই গিয়ে থাকেন, এর মধ্যে বলার মতো কিছু নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy