—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে দলীয় বৃত্তের বাইরে এ বার বৃহত্তর অংশের মানুষের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই প্রাথমিক ভাবে ই-মেল মারফত জনতার কাছে পরামর্শ চাইল তারা। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকে নিয়ে ছোট ছোট মত বিনিময়ের আসরের আয়োজনও করা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
রাজ্য সিপিএমের তরফে সমাজমাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে, ‘নির্বাচনী পর্যালোচনায় আপনাদের সকলের মতামতের প্রত্যাশী আমরা। ই-মেল মারফত আপনার কথা সরাসরি জানান পার্টিকে’। সেই সঙ্গেই দেওয়া হয়েছে ই-মেলের ঠিকানা। দলের তরফে বলা হয়েছে, যে কেউ তাঁর মতামত খোলাখুলি জানাতে পারেন। তাঁর পরিচয় বা মতের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। সাংগঠনিক স্তরে সিপিএম যে ভাবে নির্বাচনের ফলের পর্যালোচনা করে, তা-ও এখন জারি থাকবে। অন্য দিকে, বাইরে থেকে যা মতামত আসবে, সে সব খতিয়ে দেখা হবে। তার পরে আগামী ২৩ থেকে ২৫ অগস্ট নদিয়ার কল্যাণী শহরে দলের রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশনে বিশদে পর্যালোচনা হবে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে দলের সম্মেলন-পর্ব।
বাইরে থেকে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে ই-মেলই একমাত্র পথ কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। প্রশ্ন উঠেছে, শ্রমিক, কৃষক বা ক্ষেতমজুর-সহ প্রান্তিক যে অংশের মানুষ বামপন্থীদের পছন্দ করতে পারেন, তাঁরা কি সকলে ই-মেলে সড়গড়? সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘এই ক্ষেত্রে সব কিছু বাঁধা ছকে হবে না। ই-মেল একটা সুবিধাজনক পথ। তা ছাড়াও, দলীয় কর্মীরা তাঁদের মতো করে মানুষের কথা শুনবেন। চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক-সহ নানা ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছোট আকারে আলোচনার আসরের ভাবনাও রয়েছে।’’
জেলায় জেলায় আপাতত নির্বাচনী পর্যালোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া জারি রাখবে সিপিএম। কলকাতা জেলা সিপিএম ইতিমধ্যেই শহরের ফলাফল নিয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ করেছে। কলকাতার দুই লোকসভা কেন্দ্রে এ বার কংগ্রেস ও সিপিএমের ভোট কিছুটা বেড়েছে। তবে সূত্রের খবর, জেলা সিপিএমের প্রাথমিক আলোচনায় উঠে এসেছে, বস্তি অঞ্চলে বিজেপি বেশি ভোট পেয়েছে। বিজেপিকে আটকাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, এই ধারণাই ছিল মানুষের মনে। অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে সিপিএম ও বিজেপির ভাষা এক হয়ে গিয়েছিল। উল্টো দিকে, যাঁরা বিজেপিকে হারাতে চেয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগ তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র মতো প্রকল্পের কোনও বিকল্প প্রচার গড়ে তুলতেও দল ব্যর্থ হয়েছে, এমনই মত এসেছে কলকাতা জেলা সিপিএমের পর্যালোচনায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy