—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনায় কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বারুইপুরের ধপধপি-২ অঞ্চলে। সেখানে পরাজিত প্রার্থীদের মাধ্যমেই পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হয়ে ‘মানুষের পঞ্চায়েত’ গড়ার ডাক দিল সিপিএম।
এই পঞ্চায়েতে এ বার ১৮টি আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে সিপিএম। বাকি ১৭টি আসনে জিতে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। তবে সিপিএমের অভিযোগ, গণনা-কেন্দ্রে কারচুপি করে তাদের প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পঞ্চায়েত শুক্রবার দলের পরাজিত প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে আমরা জিতেছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গণনা-কেন্দ্র থেকে আমাদের লোকজনকে বার করে দিয়ে নিজেদের প্রার্থীদের জয়ের শংসাপত্র দিয়ে দেয়। বিডিও থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলেই জানেন, আমরাই জিতেছি। মানুষও জানেন আমরা জিতেছি। তাই এই প্রার্থীরাই জয়ী সদস্যদের মতো আগামী পাঁচ বছর মানুষকে পরিষেবা দেবেন। এখানে মানুষের পঞ্চায়েত তৈরি হবে। সদস্যদের মতোই প্যাড ছাপিয়ে কাজ করবেন এঁরা।’’ একই দিনে বারুইপুরের শঙ্করপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকায় জনসভা করে একই ভাবে প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সুজনের দাবি, এখানে ১৮টি আসনে তাঁদের ১৩ জন জিতলেও শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫ জনকে। এঁরা জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের মতোই মানুষের প্রয়োজনে পাশে থেকে কাজ করবেন। বারুইপুরের তৃণমূল নেতা গৌতম দাস অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘এই সব পাগলের প্রলাপ। পায়ের তলার মাটি হারিয়ে সিপিএম টিকে থাকতে এই সব করছে।”
গণনার পরে এই পঞ্চায়েতের হেরে যাওয়া একমাত্র তৃণমূল প্রার্থীর একটি ফোন কথোপকথন প্রকাশ্যে আসে (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি)। সেখানে গণনায় কারচুপির কথা কার্যত স্বীকার করে নিতে শোনা যায় সাদ্দাম হোসেন নামে ওই প্রার্থীকে। পরে অবশ্য সাদ্দাম জানান, তাঁকে ‘ভয় দেখিয়ে’ ওই কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy