দীপক সরকার। —ফাইল চিত্র।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক পদ থেকে তাঁর অপসারণ হয়েছিল আগেই। এ বার জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক পদ থেকেও সরে গেলেন দীপক সরকার। সম্প্রতি, ফ্রন্টের এক বৈঠকে তিনি এই পদ থেকে সরে যান। এ বার ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক হয়েছেন তরুণ রায়। তরুণবাবু সিপিএমের জেলা সম্পাদক। শীঘ্রই তরুণবাবুর নেতৃত্বে বৈঠকে বসবেন জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক পদ থেকে দীপকবাবুর সরে যাওয়াটা অবশ্য সময়ের অপেক্ষা ছিল। কারণ, সিপিএমের জেলা সম্পাদক যিনি হন, সাধারণত তিনিই জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক হন। যদিও দলের জেলা সম্পাদকই জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক হবেন, এমন নিয়ম নেই। যেমন অবিভক্ত মেদিনীপুরে ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক ছিলেন শিবরাম বসু। তিনি কিন্তু সিপিএমের জেলা সম্পাদক ছিলেন না। ছিলেন দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে। পরে ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক হন সুকুমার সেনগুপ্ত। সুকুমারবাবু অবশ্য সিপিএমের জেলা সম্পাদক ছিলেন। তারপর এই পদে বসেন দীপক সরকার। দীপকবাবুও দীর্ঘদিন সিপিএমের জেলা সম্পাদক ছিলেন। মাস পাঁচেক আগে দলের জেলা সম্পাদকের পদ ছাড়তে হয়েছিল। পরে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর পদ ছাড়তে হয়। এ বার জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক পদও ছাড়তে হল দীপকবাবুকে।
দলের এক সূত্রের দাবি, সম্প্রতি যে বৈঠকে দীপকবাবু ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেন, সেই বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনার কথা ছিল না। দীপকবাবু নিজেই পদ ছাড়ার কথা জানান। ওই বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা, আরএসপির জেলা সম্পাদক শক্তি ভট্টাচার্য। বৈঠকের শেষবেলায় দীপকবাবু জানান, তিনি আর জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক পদে থাকবেন না। শরিক দলের জেলা সম্পাদকেরা এর বিরোধিতা করেননি।
দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় দীপকবাবুকে এখন আলিমুদ্দিনে কাজ করতে হয়। ফলে জেলায় আগের মতো সময় দেওয়া সম্ভব নয়। তাই দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল, ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়কের পদ যেন তিনি ছেড়ে দেন। সেই মতো পদ থেকে নিজেই সরে যান দীপকবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy