—ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতির সময়ে সাংগঠনিক ঝাড়াই-বাছাই অব্যাহত রাখল সিপিএম। দল-বিরোধী কাজের অভিযোগে তিন মাসের জন্য নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হল প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে। পাশাপাশিই রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের গুরুত্ব বাড়ল দলে। তাঁকে আমন্ত্রিত সদস্য করে নিয়ে আসা হল রাজ্য কমিটিতে।
সিপিএমের গত বারের রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়েছিল প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে। কিন্তু তার পরে কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য আলিমুদ্দিনে ভিডিয়ো কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে আসা কয়েক জন নেতা-নেত্রীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তাই এ বার রাজ্য কমিটির বৈঠক আবার ভার্চুয়াল মাধ্যমেই ফিরে গিয়েছে। দিল্লি থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি শুক্রবার ভার্চুয়াল রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর অনলাইন উপস্থিতিতেই কিছু শাস্তি ও বিকাশবাবুর নতুন অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে।
প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্তবাবু আগেই সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ পড়ে শুধু জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথমে পোর্টালে কলম এবং পরে বই লিখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদগারের অভিযোগ ছিল। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগও উঠেছিল। দলীয় স্তরে কমিশন গড়া হয় অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য। জেলা নেতৃত্ব সুশান্তবাবুর বহিষ্কারই চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে তিন মাসের জন্য দলের সদস্যপদ থেকে নিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘প্রকাশ্যে যে ভাবে সুশান্তবাবু ধারাবাহিক বিষোদগার করেছেন, তা ‘বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ’। কিন্তু তিনি ভুল স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তাই তাঁকে সুযোগ দেওয়া হল।’’
দল-বিরোধী কাজ ও ‘বিরোধী পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ’ রেখে চলার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্যামল মাইতিকে সব কমিটি থেকে অবনমনের সিদ্ধান্তও হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁর হয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য এ দিন বৈঠকের সভাপতি বিমানবাবুর কাছে কিঞ্চিৎ ভর্ৎসিতও হয়েছেন!
জাতীয় পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি ইয়েচুরি এ দিন বৈঠকে বলেছেন, বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে একজোট করার চেষ্টা জারি রাখতে হবে। রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবুর পরামর্শ, পুরভোট আদৌ এখন হবে কি না, সংশয় আছে। বিধানসভা ভোট মাথায় রেখেই বুথ কমিটি গড়া-সহ সব রকমের সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy