ছবি পিটিআই।
রাজ্যে করোনা-যুদ্ধে সরকারের সঙ্গে থাকবে সিপিএম। একই সুর আর এক বিরোধী দল কংগ্রেসেরও।
সংক্রমণ এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে। সংক্রমণ তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছে আরও বড় বিপর্যয় যাতে না দেখা দেয়, সেই লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে সচেতনতা তৈরি ও সরকারের সঙ্গে সহায়তার ডাক দিয়েছে সিপিএম। বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি আপাতত বন্ধ রেখে ভাইরাস মোকাবিলায় ‘হু’ এবং সরকারের নির্দেশিকা প্রচারেই এখন মন দেবে তারা। একই সুরে প্রদেশ কংগ্রেসও সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে রোগ মোকাবিলায় ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছে। রাজ্যের কাছে তাদের দাবি, করোনা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকা হোক।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ও চিকিৎসক সূর্যকান্ত মিশ্র বুধবার আলিমুদ্দিনে বলেছেন, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি অপেক্ষা করতে পারে। মানুষকে সুস্থ রাখাই এখন জরুরি কাজ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানুষকে সচেতন করতে হবে। শুধু সরকারের ব্যাপার নয় এটা। মানুশের সহযোগিতা ছাড়া কারও শক্তি নেই এই বিপদ প্রতিহত করার।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর বার্তা, ‘‘সতর্ক হয়ে প্রতিরোধ করুন, অযথা আতঙ্কিত হবেন না।’’
সংক্রমণের সময়ে বড় জমায়েত করা উচিত নয় বলে দু-তিন জনের ছোট দল নিয়ে এলাকায় সচেতনতার প্রচারের কথা বলেছেন সূর্যবাবু। খেটে খাওয়া, সঙ্গতিহীন মানুষকে সচেতন করা এবং চিকিৎসা পেতে সহযোগিতার কথা বলেছেন। দাবি তুলেছেন আক্রান্ত সাধারণ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসার। হু-র নির্দেশিকা অনুসারেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলার ডাক দিয়েছেন সূর্যবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা সরকারের কাজে সহায়তা করব। সরকারের যে সব ব্যবস্থাপনা আছে, আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে তার সঙ্গে সহযোগিতা করব। তবে সরকারেরও উচিত প্রতিদিন তথ্যপ্রকাশ করে মানুষকে অবহিত রাখা।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও বলেছেন, ‘‘ভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর্মসূচির সঙ্গে সহযোগিতা করে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আমাদের প্রতিকারের চেষ্টা করতে হবে। যেখানে যেখানে সম্ভব স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে কর্মীরা সচেতনতার প্রচার করুন, সামর্থ অনুযায়ী মানুষের কাছে জীবাণুনাশক সামগ্রী পৌঁছে দিন।’’ হিমঘরে এখন আলু তোলার কাজ চলছে। আলু চাষি, মুটিয়া, পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য তাই হিমঘরে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালুর দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র।
বিরোধীদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে শাসক দল। তৃণমূলের পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল ২০ মার্চ থেকে। করোনা-পরিস্থিতিতে তা আপাতত ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়ার ভাবানচিন্তা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর বক্তব্য, ‘‘এখন একটা আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে দিনক্ষণ ঠিক হবে।’’
রাজ্য বিজেপিও আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত জনসংযোগ কর্মসূচি বন্ধ রাখছে। কিন্তু নেতারা দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন জেলার দফতরে গিয়ে বৈঠক বন্ধ রাখছেন না। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর যুক্তি, ‘‘রাজ্যের সব সরকারি দফতর, দোকান, বাজার খোলা। তা হলে দলের কার্যালয়ে আমাদের কাজ বন্ধ করব কেন? আমরা সতর্ক আছি। কিন্তু আতঙ্কিত নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy