দুর্গাপুরে পুরভোটের দাবি জানাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সিপিএমের প্রতিনিধিদল। নিজস্ব চিত্র।
পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় দুর্গাপুর পুর-নিগম পরিচালিত হচ্ছে প্রশাসকমণ্ডলী বসিয়ে। অবিলম্বে দুর্গাপুরে পুরভোট করানোর জন্য প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সই সংবলিত দাবিপত্র রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দিল সিপিএম। দ্রুত ও স্বচ্ছ পুর-নির্বাচনের দাবিতে গত ১৮ এপ্রিল দুর্গাপুর পুরসভা ঘেরাও করেছিল তারা। সে দিনই ঘোষণা করা হয়েছিল কলকাতায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে শহরবাসীর সই নিয়ে দাবি জানানোর কথা। সেই মতোই সোমবার দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী-সহ জেলার নেতাদের নিয়ে সিপিএমের প্রতিনিধিদল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত পুরভোটের দাবি জানিয়েছে।
কমিশনে দাবি জানিয়ে বেরিয়ে পলাশ বলেন, ‘‘দুর্গাপুরের পুরবোর্ডের মেয়াদ ২০২২ সালের অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে প্রশাসকমণ্ডলী বসিয়ে রাখা হয়েছে। অনেক কাজই তার ফলে আটকে যাচ্ছে। রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পেতেও শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে আমরা দ্রুত নির্বাচন দাবি করেছি।’’ পলাশের অভিযোগ, গত বার পুরভোটের সময়ে বীরভূম-সহ বাইরে থেকে লোকজন এনে দুর্গাপুরের দখল নিয়েছিল তৃণমূলের বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি তৃণমূলেরও অনেকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সেই ২০১৭ সালের ভোটের সময়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, এখন তিনি বিজেপিতে। কিন্তু শাসক দলের মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি। ভোট লুট বন্ধ করার দাবিও আমরা তুলেছি।’’ জেলার নেতা পঙ্কজ বলেন, ‘‘বাম জমানাতেও বিরোধীরা পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হতেন, কোথাও বোর্ড গড়তেন। তার জন্য ভোট বন্ধ রাখা হত না! আমার পাড়ার লোক কাউন্সিলর হবে, এই গণতান্ত্রিক মনোভাব থেকে বেরিয়ে তৃণমূল জমানায় আমলাতান্ত্রিক শাসন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy