—প্রতীকী ছবি।
সর্বভারতীয় সিপিএম তাদের বিজেপি-বিরোধিতার রাজনীতির প্রেক্ষাপট থেকে তৃণমূলের জয়কেও নিজেদের খাতায় উল্লেখ করল। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। রবিবার তা শেষ হয়েছে। সোমবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিবৃতিতে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ‘সাফল্য’কে ‘গরিমা’ হিসেবে দেখাতে চেয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের অনেকের। যা নিয়ে বঙ্গ সিপিএমের মধ্যে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। পাল্টা তৃণমূল কটাক্ষ করে বলেছে, সিপিএমের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব বঙ্গ নেতৃত্বের রাজনৈতিক অবস্থানকে নাকচ করে দিয়েছেন।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলি জনগণকে জোটবদ্ধ করে ২৩৪টি আসনে জয়লাভ করেছে যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ৩৮টি কম।’ সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘এনডিএ জোট (বিজেপি নেতৃত্বাধীন) সব ক’টি নির্বাচনী ক্ষেত্র মিলিয়ে মোট প্রদত্ত ভোটের ৪২.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ইন্ডিয়া ব্লক দলসমূহের পক্ষে রয়েছে ৪০.৬ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ দুটি পক্ষের মধ্যে ভোটের পার্থক্য ২ শতাংশের চাইতেও কম— ১.৯ শতাংশ।’
সিপিএম যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে বাংলায় জেতা তৃণমূলের ২৯টি আসন রয়েছে। অর্থাৎ রাজনৈতিক মহলের অনেকের বক্তব্য, বাংলায় তৃণমূলের জয়কেও সর্বভারতীয় স্তরে সিপিএম বৃহত্তর প্রেক্ষাপটের আঙ্গিকে ‘নিজেদের জয়’ হিসেবে দেখাতে চেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির এই বিবৃতি প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাশ বলেন, “তৃণমূল ‘ইন্ডিয়া’য় রয়েছে এটা ঘটনা। কিন্তু আমরা রাজ্যের বাস্তবতা অনুযায়ী রাজনৈতিক লাইন নিয়ে চলেছি। কেরলে আমাদের মূল লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে। আবার, বাংলায় তৃণমূল, বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।”
পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “বাংলার সিপিএম যে ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব নিয়ে ভোটে লড়েছিল, তাকে খারিজ করে দিয়েছেন সিপিএমেরই সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। বাংলায় বিজেপিকে রুখে দেওয়ার মুখ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা দিল্লির সিপিএম নেতারাও মেনে নিয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে স্পষ্ট। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল, বাংলার সিপিএম বিজেপির দালালি করে চলেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy