প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, রাজ্যসভায় সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে প্রদীপ ভট্টাচার্যের ‘কপালের নাম গোপাল’ ধরতে হবে! শেষ পর্যন্ত চার দিন ঝুলে থাকার পরে খারিজই হয়ে বিকাশ ভট্টাচার্যের মনোনয়ন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের পাঁচ এবং কংগ্রেসের এক প্রার্থী রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন। কংগ্রেসের প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে ফের রাজ্যসভায় গেলেও আজ, মঙ্গলবারই হাইকোর্টে দলত্যাগী বিধায়কদের নিয়ে কংগ্রেসের আবেদনের হয়ে সওয়াল করতে নামছেন আইনজীবী বিকাশবাবু! কংগ্রেস পরিষদীয় নেতৃত্বও জানিয়েছেন, বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করেই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি সম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা দেননি, এই কারণ দেখিয়ে সোমবার দু’ঘণ্টারও বেশি শুনানির পরে বিকাশবাবুর প্রার্থিপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন বিধানসভার সচিব তথা রাজ্যসভা ভোটের রিটার্নিং অফিসার জয়ন্ত কোলে। প্রকাশ্যে তিনি অবশ্য এই নিয়ে মুখ খোলেননি। আর শুনানির শেষে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘বিকাশবাবুর মনোনয়ন খারিজ করা হবে, এটা ঠিক করাই ছিল। আমরা যে ভুল যুক্তি দিচ্ছিলাম না, তিন দিন ধরে শুনানি চালিয়ে যাওয়াই তার প্রমাণ। তৃণমূল বিকাশবাবুর প্রার্থিপদ বাতিল করার দাবি তুলেছিল। মনে হচ্ছে, আমরা কোনও চক্রান্তের শিকার হলাম!’’ তাঁরা কি আদালতে যাবেন? সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, ‘‘বিকাশবাবু নিজেই আইনজ্ঞ। তাঁর মতামত নিয়েই যা করার, করা হবে।’’ বিকাশবাবু নিজে অবশ্য এখনই মামলায় যেতে খুব আগ্রহী নন। বিকাশবাবুর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেই তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, মানস ভুঁইয়া ও শান্তা ছেত্রী এবং কংগ্রেসের প্রদীপবাবুকে নির্বাচিত সাংসদের শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, ‘‘সময়ে নথিপত্র জমা না দেওয়ায় বিকাশবাবুর মনোনয়ন নির্দিষ্ট আইনের ৩৬(৪) ধারা অনুযায়ী বাতিল হওয়ারই কথা। সিপিএম নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy