স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, ১০ লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড, ১ লক্ষ ডোজ় কোভ্যাক্সিন চাওয়া হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
করোনার বিরুদ্ধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বা গোষ্ঠী প্রতিরোধ-ক্ষমতা তৈরি হতে অন্তত ৮৫ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বঙ্গে সতর্কতামূলক (বুস্টার) ডোজ় নেওয়ার শতকরা হার মাত্র ২৬ শতাংশ। মূলত মানুষের অনীহার কারণে, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে এখন টিকাকরণ বন্ধ। রাজ্যের ভাঁড়ারে টিকাও অ-পর্যাপ্ত। এ বার রাজ্যের তরফে ফের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে টিকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।
ফের অতিমারির আশঙ্কায় প্রতিটি রাজ্যকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই, বঙ্গের প্রতিটি জেলার পরিস্থিতি জানতে বুধবার স্বাস্থ্যকর্তা, সমস্ত জেলাশাসক, জেলাগুলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ওই বৈঠকেই ফের টিকা চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যে কোভিশিল্ড নেই। কোভ্যাক্সিন যা রয়েছে, তার মধ্যে ২১ হাজার ৬৩০ ডোজ়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরেই। জানুয়ারির শেষে ২৩ হাজার ৬৮০ ডোজ় আর মার্চের শেষে ৬৬০ ডোজ়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, ১০ লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড, ১ লক্ষ ডোজ় কোভ্যাক্সিন চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ লক্ষ নেজ়াল ভ্যাকসিন ‘ইনকোভ্যাক’-ও চেয়েছে রাজ্য। কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের ওই নাকের স্প্রে-টি কোউইন পোর্টালে নথিভুক্ত করার কথা আগেই বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এবং আপাতত ওই ভ্যাকসিন বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে মিলবে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে, কেন্দ্র পরে সরকারি ক্ষেত্রেও ওই ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাই আগাম চাহিদা জানিয়েছে রাজ্য। টিকা এলে তা সংরক্ষণের জন্য ফের জেলার ‘কোল্ড-চেন’ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
এ দিন ঠিক হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ৮১৭টি শয্যা নিয়ে করোনা মোকাবিলায় নামা হবে। ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে শয্যা-সংখ্যা। প্রতিটি অক্সিজেন প্লান্টের সরবরাহ ব্যবস্থা, ওয়ার্ডে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার, তা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়মিত খতিয়ে দেখতে হবে। প্রতিটি ‘মক ড্রিল’-এর ‘রিয়েল টাইম রিপোর্ট’ করতে হবে। এ দিন জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশিকা পেলেই, রাজ্যের তরফেও করোনার নতুন চিকিৎসা বিধি তৈরি করা হবে। নবনিযুক্ত চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কোন এলাকায় জ্বরের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, তা জানতেও স্বাস্থ্য দফতর নজরদারি বাড়াতে বলেছে।
এ দিকে, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি বিদেশিনির আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বুধবার ফের পরীক্ষা করানো হয়েছে। পাশাপাশি এ দিন তাঁর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy