যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৎকালীন দুই তৃণমূল সাংসদের কার্টুন নিয়ে মামলায় জড়িয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ পাঁচ জন। রসিকতার জেরে কেন পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছিল, তা নিয়েও বিতর্ক চলেছিল বিস্তর। ঘটনার ন’বছর পরে মঙ্গলবার সেই মামলা থেকে আংশিক রেহাই পেলেন অম্বিকেশবাবু। আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ, চার্জশিটে পুলিশ অম্বিকেশবাবুর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারায় যে অভিযোগ এনেছিল, সেই ধারা তাঁর বিরুদ্ধে প্রযোজ্য নয়।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ওই ৬৬এ ধারা ২০১৫ সালে বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অম্বিকেশবাবুর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে দায়ের হওয়া মামলায় ওই ধারায় অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। চার্জশিট দেওয়ার সময়ে অম্বিকেশবাবু এবং সুব্রত সেনগুপ্তকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। অম্বিকেশবাবুদের আবাসনের বাসিন্দা এবং গ্রেফতারের সময়ে আবাসন কমিটির সম্পাদক সুব্রতবাবু প্রয়াত হয়েছেন দু’বছর আগে।
আদালত অবশ্য এ দিন জানিয়েছে, অম্বিকেশবাবুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ এবং ৫০৯ ধারা (যথাক্রমে মানহানি এবং কটূক্তি) প্রযোজ্য হবে কি না, সেই ব্যাপারে আগামী ১৭ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে। ওই ধারা প্রযোজ্য না হলে মামলা থেকে পুরোপুরি নিষ্কৃতি পাবেন অম্বিকেশবাবু। তিনি এ দিন বলেছেন, ‘‘স্বাধীন মত প্রকাশের উপরে রাষ্ট্রের আক্রমণ শেষ হয়েও শেষ হল না! নাগরিক অধিকার ও মত প্রকাশের অধিকারের স্বার্থে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।’’
তবে আইনজীবীদের অনেকের মতে, এ ক্ষেত্রে মানহানি হলে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য দুই নেতাকে আদালতে এসে বক্তব্য পেশ করতে হতে পারে। সেই সম্ভাবনা কম। তাই আগামী শুনানিতেই এই মামলার পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy