নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-কে তাড়া দিল আদালত। বিচারক তদন্তে গতি আনার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সারা দেশের চোখ যে এই মামলার গতিপ্রকৃতির দিকে রয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মোট আট জনকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এ ছাড়া, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সুব্রত সামন্ত রায়, কৌশিক ঘোষদেরও বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁরা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। শুনানির শুরুতেই বিচারক গোয়েন্দাদের তদন্তে গতি আনতে বলেন।
আরও পড়ুন:
মামলার তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআইকে। বিচারক জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক তদন্তের ভার রয়েছে সিবিআইয়ের উপর। প্রতি ক্ষেত্রেই আরও দ্রুত তদন্ত করা প্রয়োজন। চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা সকলে গ্রেফতার নন। তাঁরা এখন কোথায়? সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারক।
সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতের প্রশ্নের মুখে জানান, চার্জশিটে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের বিষয়ে তথ্য আছে কেস ডায়েরিতে। একটি মামলায় একাধিক অভিযুক্ত থাকলে সকলের বিষয়েই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। তার জবাবে বিচারক বলেন, ‘‘আমি আপনাদের তদন্তের অগ্রগতি অস্বীকার করছি না। আপনাদের তদন্তকারী অফিসার কাজ করছেন না, তা-ও বলছি না।’’
তবে সারা দেশ যে পশ্চিমবঙ্গের এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের দিকে নজর রেখেছে, তা-ও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন বিচারক। সেই কারণেই তদন্তে আরও গতি আনা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন তিনি।
আদালতে বিচারক দু’টি কেস নম্বরেরও উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের দায়ের করা দু’টি মামলা আরসি-৫ এবং আরসি-৩ ছাড়া বাকি মামলার তদন্তের অবস্থা খারাপ। অথচ, সবক’টি তদন্তই একসঙ্গে শুরু হয়েছে। কোনও তদন্তেই ঢিলেমি কাম্য নয়, সিবিআইকে সে কথাই বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রসন্ন রায়কে এই সংক্রান্ত পৃথক একটি মামলায় হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। তাঁকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেই সঙ্গে জীবনকৃষ্ণ-সহ বাকি অভিযুক্তদের আগামী ২৫ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।