তারাপীঠ মন্দিরে রবিবারের ভিড়। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে মন্দিরে দর্শনার্থীদের জন্য সুরক্ষা বাড়িয়েও তারাপীঠ মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য এখনই খুলতে নারাজ মন্দির কমিটি। রবিবার মন্দির কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ২০ জুন পর্যন্ত মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে। ২০ জুন ফের মন্দির খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মন্দির কমিটি। এ দিনের বৈঠকে মন্দির চত্বরে প্রায় তিনশো সেবাইত জড়ো হন। কেন এই পরিস্থিতিতে এমন ভিড় হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জুনের শুরু থেকেই রাজ্যের নানা ধর্মস্থান খোলার ব্যাপারে অনুমতি মিললেও তারাপীঠ মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য খোলেনি। মন্দির ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার আগাম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্দির কমিটি। এ দিন মন্দির খোলার ব্যপারে সেবাইতদের মতামত নেওয়ার জন্য বৈঠকের ডাক দিয়েছিল মন্দির কমিটি। সেই বৈঠকের জন্যই মন্দির চত্বরে প্রায় শ’তিনেক সেবাইত উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু সুরক্ষা বজায় রাখতে যেখানে মন্দিরই খোলেনি, সেখানে কেন এমন ভিড় হল মন্দির চত্বরে। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, মন্দির খোলার বিষয়ে জানতেই অনেকে এসে ভিড় করেছিলেন। এর পর থেকে কেবল মন্দির কমিটির ১৬ জন নিয়েই বৈঠক হবে বলে তিনি জানান।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় জানান, তারাপীঠ মন্দিরে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন মা তারার দর্শন করতে আসেন। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির খোলার ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা সংক্রমণের হার যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী উভয়ের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স হওয়ার কথা। তাই আরও কিছু দিন মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্দির কমিটির হিসাবরক্ষক শ্যামল মুখোপাধ্যায় জানান, মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য খোলার পরে তারাপীঠে মা তারাকে ভাণ্ডারা বা বিশেষ ভোগ নিবেদন ও মা তারার রথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ দিন সকালে তারাপীঠ ঘুরে দেখা যায় মন্দির খোলার অপেক্ষায় দোকানদার থেকে লজ মালিক, ফুল বিক্রেতা থেকে পুজোর নৈবদ্যের ডালা বিক্রেতারা নিজেদের দোকান, লজ পরিস্কার করছেন। অনেকেই জানালেন তারাপীঠ মন্দিরে আসা দর্শনার্থীদের ভরসায় তারাপীঠের ব্যবসা চলে। সেক্ষেত্রে মন্দির না খুললে দর্শনার্থীরা আসতে পারছেন না। এর জন্য তারাপীঠের ব্যবসায়ীরাও হাত গুটিয়ে মন্দির খোলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy