মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
আত্মনির্ভরতার উপরে মঙ্গলবার জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগেই গ্রামীণ অর্থনীতির জাগরণের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসংস্থানের উপরে জোর দিয়ে নতুন প্রকল্পও ঘোষণা করলেন তিনি। তবে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কোনও রং বিচার করা চলবে না বলে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের সঙ্গে বুধবার বৈঠকে বসেছিল পঞ্চায়েত দফতর। সেই বৈঠকেই গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার রূপরেখা স্থির করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাইছি, আরও দোকানপাট খুলুক। এখন তো মৎস্য, সেচ দফতরের কাজ করতে অসুবিধা নেই। তার জন্য আরও বেশি লোককে কাজে লাগাতে হবে। ভিন্ রাজ্য থেকে যাঁরা এসে এ রাজ্যে আটকে পড়েছেন, প্রয়োজনে তাঁদেরও একশো দিনের কাজ দিতে হবে।’’
এ দিন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। পশ্চিমাঞ্চলের ৬টি জেলার ৬০ হাজার একর জমি এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। তাতে আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সাড়ে ছ’হাজার একর পতিত জমির জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচশো মাইক্রো প্ল্যান তৈরি হয়েছে। একশো দিনের কাজের মাধ্যমে এগুলি রূপায়ণ হবে। তবে ঠিকাদার নিয়োগ হবে না, জানিয়েছে সরকার। ঘটনাচক্রে, কাজে লোক নিয়োগ নিয়ে মারপিট যাতে না-হয়, তা দেখার জন্য এ দিন জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জয় বাংলা-সহ সামাজিক পেনশন নিয়ে অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘জয় বাংলা নিয়ে কোনও অভিযোগ এলে আইনত ব্যবস্থা নেব। রেশন নিয়ে একটিও অভিযোগ শুনতে চাই না। যাতে কেউ অনাহারে না-থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ জয় বাংলা-জয় জোহরের জুন-জুলাইয়ের অর্থ দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলা আবাস যোজনায় ১০ লক্ষ বাড়ির কাজ হবে। যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে করার লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজের উপরে গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। ১১ লক্ষ কিসান ক্রেডিট কার্ডও করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বব্যাঙ্কের পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ জেলাশাসকদের হাতে দিয়েছে রাজ্য। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে স্থির হয়েছে, ৭০ শতাংশ অর্থ গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে যাবে। বাকি ১৫ শতাংশ করে জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির হাতে গেল। তার প্রথম কিস্তির টাকাও এসে গিয়েছে। সেই অর্থ কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় খরচ করতে পারবে জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy