সপ্তাহান্তের চেনা ছবি উধাও। পর্যটকশূন্য দিঘা। নিজস্ব চিত্র।
বালুতট জনমানব শূন্য। স্নানের ঘাটেও লোক নেই। বন্ধ সৈকতের সার সার দোকান।
ভোটের ফলপ্রকাশের পরে প্রথম শনি-রবি। করোনার ভয়ে দিঘা অবশ্য খাঁ খাঁ। হোটেলগুলিতেও লোক নেই। সৈকত শহরের নিস্তব্ধতা শুধু খানখান হচ্ছে অবিরাম ঢেউয়ের গর্জনে। তবে মন্দারমণিতে শনিবার বিকেল থেকে কিছু পর্যটকের দেখা মিলেছে।
গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ও শুনশান হয়েছিল দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণির সৈকত। তারপর ক্রমে ফেরে ভিড়ের চেনা ছবি। করোনা বিধি শিকেয় তুলেই ভিড় জমাতে শুরু করেন পর্যটকেরা। ভোটের সময় অবশ্য পর্যটকদের আনাগোনা খানিক কমে। তারপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফিরল শুনশান সৈকতের ছবি।
প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় আগামী ১৯ মে পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে। এ রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা না হলেও বিধি-নিষেধ চালু হয়েছে। বন্ধ হয়েছে লোকাল ট্রেন। কমেছে বাস। লোকজনও ঘরবন্দি থাকা শুরু করেছেন। তারই জেরে সপ্তাহান্তের দিঘা একেবারে অচেনা। ওল্ড দিঘায় মূল রাস্তার ধারে দু’একটা চায়ের দোকান আর একটা ডাবের দোকান খোলা। বাকি সব ঝাঁপ বন্ধ। সরকারি-বেসরকারি হাতে গোনা কিছু বাস আসছে। বাস দেখলেই ছুটে আসছেন হোটেলের কর্মচারীরা। কিন্তু একজনও পর্যটকের দেখা নেই। আর নিউ দিঘা তো একেবারেই ফাঁকা।
ওল্ড এবং নিউ দিঘায় বড়-মাঝারি মিলিয়ে প্রায় সাতশো হোটেল রয়েছে। শনি এবং রবিবার সব হোটেলই প্রায় ফাঁকা। ওল্ড দিঘার এক হোটেল মালিক বলছেন, ‘‘লোকাল ট্রেন বন্ধ। বাস চলছে না বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে হোটেল খুলে রেখে লোকসান বাড়ছে।’’ দিঘার হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সময়সীমা মেনেই স্থানীয় দোকানপাট খুলছে। তবে পর্যটকেরা না আসায় হোটেল শিল্প মারাত্মকভাবে ধাক্কা খাচ্ছে। আগামী দিনে কী ভাবে পর্যটন শিল্প ও হোটেল শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে
বলা মুশকিল।’’
মন্দারমণিতে অবশ্য এ দিন সামান্য হলেও পর্যটকের দেখা মিলেছে। শনিবার বিকেল থেকেই কিছু লোকজন হোটেলগুলিতে এসেছে। রবিবার সকালে সৈকতে ইতিউতি ঘুরেছেন তাঁরা। তবে সন্ধ্যায় ঝড়-বৃষ্টির পরে সকলেই হোটেলবন্দি। স্থানীয় দোকানদার অশোক পন্ডার কোথায়, ‘‘পরপর দু’সপ্তাহ শনি-রবি একেবারেই ভিড় হয়নি। এ সপ্তাহে অন্তত কিছু লোক এসেছে দেখে দোকান খুলতে এসেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টিতে আর খদ্দেরের দেখা মিলল না।’’ পর্যটকেরা যাতে আগাগোড়া মাস্ক পরেন, দূরত্ববিধি-সহ যাবতীয় নিয়ম মানেন, সে জন্য বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে লোকজনকে সচেতন করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy