ছবি পিটিআই।
এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫০ থেকে ৬০০ ছুঁইছুঁই! শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৫৪২। রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী বঙ্গে এক দিনে ৫৭২ জনের দেহে অস্তিত্ব মিলেছে করোনাভাইরাসের। এই রাজ্যে এ-পর্যন্ত যা সর্বাধিক।
এই সংক্রমণ-মানচিত্রে ভাইরাসের দাপট মূলত শহরাঞ্চলেই অব্যাহত। আক্রান্তের মাপকাঠিতে ধারাবাহিক ভাবে শীর্ষে থাকা তিন জেলা হল কলকাতা (১৭১), উত্তর ২৪ পরগনা (১৩২) এবং হাওড়া (৭৮)।
এ দিনই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় কর্মরত প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের (সাম্মানিক) উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে লিখেছেন, প্রসূতি ও শিশুর স্বাস্থ্য, টিকাকরণ, যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচি এবং অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজ করবেন ক্ষেত্রে ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা। আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে এই প্রকল্প। অন্তত সাড়ে ছ’হাজার ‘অনারারি’ স্বাস্থ্যকর্মী এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বঙ্গে আক্রান্ত ১৭,২৮৩
অ্যাক্টিভ রোগী ৫৪৫১
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৭২
২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০
মোট মৃত ৬৩৯
কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত ৪৮০
(সূত্র: রাজ্য সরকার)
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, আশাকর্মীদের ধাঁচে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে ওই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের। দফতরের অন্য এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘মায়েদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা, হাসপাতালে ভর্তি করানো, শিশুদের টিকা দেওয়া, যক্ষ্মা রোগের খবর দেওয়ার মতো কাজ করে ‘কেস’-পিছু টাকা পান আশাকর্মীরা।’’ নির্দিষ্ট সাড়ে তিন হাজার টাকা ছাড়াও এই ধরনের কাজ করে তাঁরা আরও ৩-৪ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ মেলেনি, বাঁধের উপরেই ঘর বেঁধেছেন ওঁরা
এ দিনের সংক্রমিতের তালিকায় কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের এক প্রবীণ চিকিৎসক পজ়িটিভ হয়ে মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এসএসকেএমে সিসিইউয়ের এক মেডিক্যাল অফিসার এবং এসডিএলডি বিভাগের এক পিজিটি করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এসএসকেএম সূত্রের খবর, ওই পিজিটি গৃহ-নিভৃতবাসে রয়েছেন। সিসিইউয়ের চিকিৎসক বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আইডিতে দু’জন নার্সও আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। আইডি সূত্রের খবর, রাজ্যের এক বিধায়কের এক বছরের নাতনি করোনা নিয়ে আজ, সোমবার সেখানে ভর্তি হতে পারে। আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই বিধায়কও। তিনি সুস্থ। এসএসকেএমের তিন করোনা-আক্রান্ত চিকিৎসক প্রসঙ্গে উপাধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র বলেন, ‘‘সকলে সুস্থ রয়েছেন। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যাঁরা মনে করছেন তাঁদের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন, তাঁদের পরীক্ষা করানো হচ্ছে রোজই। ভয়ের কিছু নেই।’’
আরও পড়ুন: নমুনা পরীক্ষা, ভর্তিতে অনেক পিছিয়ে মেয়েরা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy