এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সোমবারের তুলনায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা ১১ হাজারের বেশি হলেও নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০০-র গণ্ডি পেরোল না। ফলে সংক্রমণের হারও এ দিন দেড় শতাংশের নীচে চলে গিয়েছে। রাজ্যে করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণ চলছে। এই পরিস্থিতিতে অতিমারির ‘শীর্ণকায়’ চেহারাটা স্বস্তি জোগাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ৪১২ জন। যার জেরে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৩ জন।
রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমতেই ব্যতিক্রমী ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার করোনা মানচিত্রে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫ জন। কলকাতায় তা হয়েছে ১০৫ জন। এ ছাড়া রাজ্যের আর কোনও জেলাতেই দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৩০ পেরোয়নি। উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা ছাড়া বাকি জেলাগুলির মধ্যে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা সর্বোচ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সেখানে ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এ দিন। এ ছাড়া হাওড়ায় ১৭ জন এবং হুগলিতে ১৫ জনের কভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে এ দিন।
সোমবার কোভিড পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৮৭৫টি। তার ২৪ ঘণ্টার পর করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৪ টি। এর মধ্যে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে ৪১২ জনের। প্রতি দিন যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে যত জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে, তার শতকরা হারকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। মঙ্গলবার সংক্রমণের হার হয়েছে ১.৩৭ শতাংশ। সোমবারের বুলেটিনে যা ছিল ২.০৬ শতাংশ।
সোমবার রাজ্যে মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের। মঙ্গলবার প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন, এ ছাড়া কলকাতা, হুগলি, হাওড়া এবং উত্তর দিনাজপুরে ১ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ দিন মৃতের সংখ্যা ধরে রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন ১০ হাজার ৭৪ জন।
রাজ্যে সুস্থতার হার রোজই ধাপে ধাপে বাড়ছে। সোমবারই তা প্রথম ৯৭ শতাংশ স্পর্শ করেছিল। মঙ্গলবার তা আরও কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৯৭.০২ শতাংশ। মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫১৩ জন। এই নিয়ে রাজ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ২১৮ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৬ হাজার ৭৮১ জন যা আগের দিনের তুলনায় ১১২ জন কম। রাজ্যে সক্রিয় রোগী কমে যাওয়ার সেই প্রবণতা অব্যাহত এ দিনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy