গত তিন দিন ধরে নতুন করোনা কেসের সংখ্যা কলকাতায় গড়ে আশির ঘরে রয়েছে। ছবি: পিটিআই।
চতুষ্কোণে উদ্বেগের বার্তা শনিবার বঙ্গের করোনা-বুলেটিনে! রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করল। এ রাজ্যে শেষ যে জেলায় করোনা-বাঁধ অক্ষত ছিল, তা আর রইল না। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আশি হওয়ায় দু’হাজারের ঘরে এসেছে কলকাতা। আর এ সবের পিছনে যে পরিসংখ্যান দায়ী তা হল, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৭, যা এ পর্যন্ত বঙ্গে এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪৪। শুক্রবার কমে ২৭৭ হলেও এ দিন আবার তা তিনশোর ঘর পেরিয়েছে। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৫১৩০। অ্যাক্টিভ করোনার সংখ্যা ২৮৫১। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সদ্য প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ তথা সুপার।
করোনা-মৃত্যু সংক্রান্ত বিতর্কিত নির্দেশিকা জারির পরে এমএসভিপি-র পদ থেকে সরে যান ওই চিকিৎসক। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী আনন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: পাইলটের দেহে কোভিড ১৯, মাঝআকাশ থেকেই ফিরল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান
জেলাওয়াড়ি পরিসংখ্যানের দিকে চোখ দিলেই বঙ্গের পিচে ফের করোনার ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকানোর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। গত তিন দিন ধরে নতুন কেসের সংখ্যা কলকাতায় গড়ে আশির ঘরে রয়েছে। এ দিনও ব্যতিক্রম হয়নি। যার প্রেক্ষিতে কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২০৫৩। নতুন আক্রান্তের মাপকাঠিতে তালিকায় নজর কাড়ছে হাওড়া (৪২), উত্তর দিনাজপুর (৩৮), কোচবিহার (৩২), উত্তর ২৪ পরগনা (৩০) এবং বীরভূম (২২)। পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরে বাকি জেলায় আক্রান্তের সূচক গতিপ্রাপ্ত হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের নামের পাশে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য ছিল। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে ৪ জন আক্রান্ত মিলেছে। ৩২ জন আক্রান্ত দিয়ে খাতা খুলেছে কোচবিহার।
আরও পড়ুন: লকডাউন যৌক্তিক, কিন্তু ধাপে ধাপে তোলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
স্বাস্থ্য ভবনের খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কোচবিহারের আঠেরোশোরও বেশি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসা বাকি ছিল। বকেয়া রিপোর্ট আসতেই একটিও জেলা করোনা-মুক্ত রইল না।
তবে আক্রান্তের দ্বিগুণের হারে এখনও পর্যন্ত পরিবর্তন ঘটেনি। সেটি চোদ্দো দিনই রয়েছে। গত ১২ মে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১৭৩। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে ২৬ মে যা হয় ৪০০৯। আবার ১৬ মে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫৭৬। দু’সপ্তাহের মাথায় তা পাঁচ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy