প্রতীকী ছবি।
নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক সদর দফতরে করোনা হানা! এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন আট জন। তার জেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে নিজাম প্যালেসের সিবিআই অফিস। যুগ্ম-অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তবসহ ২২ জন অফিসার-কর্মী আপাতত গৃহ-নিভৃতবাসে রয়েছেন। ই এম বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সিবিআয়ের আক্রান্ত ডিআইজি। কর্মরত আরও চার জনকে বৃহস্পতিবার এম আর বাঙুর করোনা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। সিবিআই কর্তার স্ত্রী ও শিশুপুত্র এবং পরিচারিকা আক্রান্ত হলেও আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, ১ জুন আক্রান্ত ডিআইজি নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন। সেদিনও তাঁর জ্বর ছিল। টনসিলাইটিসের চিকিৎসা চলছে বলে তিনি দফতরে জানিয়েছিলেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ার তাঁকে বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। এর পর ওই কর্তার স্ত্রী, তিন বছরের পুত্র, আবাসনে কর্মরত অসম পুলিশের চার কনস্টেবল এবং অসম থেকে আসা এক পরিচারিকার করোনা সংক্রমণের কথা জানা যায়। ওই কর্তার বৃদ্ধা মায়ের অবশ্য করোনা হয়নি।
সিবিআইয়ের এক কর্তা জানান, ১ জুন অফিসে এসে যুগ্ম-অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন ডিআইজি। অফিসে তাঁর শিশুপুত্রকেও নিয়ে এসেছিলেন। সব মিলিয়ে ২২ জন কর্মী-অফিসারের সঙ্গে তাঁর দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছিল। সিবিআই সকলকেই নিভৃতবাসে যেতে বলেছে। ১৪ জুন তাঁদের নিভৃতবাসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিজাম প্যালেসের দফতরও ১৪ জুনের পর খুলবে বলে জানা গিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের কারও আর করোনা সংক্রমণ হয়নি। সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। যে গাড়ির চালক ডিআইজি’কে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরও সংক্রমণ হয়নি।
অন্য একটি বিষয় নিয়েও সিবিআইয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। আক্রান্ত ডিআইজি অসম ক্যাডারের আইপিএস। তিনি সিবিআইয়ে যোগ দেওয়ার পরও অসম থেকে পুলিশ কর্মীদের নিয়ে এসে নিজের কাছে রেখেছেন। যা বেআইনি বলে জানাচ্ছেন সিবিআইয়ের একাংশ। অসম পুলিশের কর্মীরা আবার সিবিআইয়ের গার্ডরুমে যেতেন। ফলে তাঁদের মাধ্যমে সিবিআইয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। জানা গিয়েছে, এনআইএ’তে কর্মরত অসম ক্যাডারের অন্য এক অফিসারের বাড়ির কাজের জন্য সেই রাজ্যের পুলিশ এনে রাখা হয়েছে। সিবিআইয়ের সদর দফতর এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy