প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের তালিকায় রেড জ়োনে ঢুকে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। তারই মধ্যে এ বার করোনা আক্রান্ত হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণের কৃষ্ণনগরের এক এলাকার প্রৌঢ়া। জেলার বাসিন্দা হলেও তাঁর করোনা অবশ্য ধরা পড়েছে হাওড়ায়। তিনি সেখানেই এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন হাওড়ার করোনা হাসপাতালেই।
নিয়মমাফিক জেলার আক্রান্তের তালিকায় বছর ছাপান্নর ওই মহিলার নাম উঠবে না। তবে ক্যানসারে আক্রান্ত ওই প্রৌঢ়ার করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার খবরে শোরগোল পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের নামের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জেলা স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর। রবিবারই সংস্পর্শে আসা ১৪ জনকে চিহ্নিত করে গৃহ পর্যবেক্ষণে (হোম কোয়রান্টিন) রাখা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য এ দিনই তাঁদের সকলের লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘উদ্বেগের কিছু নেই। ওই মহিলা হাওড়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাঁর করোনা পজ়িটিভ হয়েছে।’’
জানা যাচ্ছে, ক্যানসার আক্রান্ত ওই প্রৌঢ়াকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কেমোথেরাপি নিতে হয়। কেমোথেরাপি নিতেই তিনি গত ১৮ এপ্রিল হাওড়ার এক সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী এবং মেয়ে। মেদিনীপুরের একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করেই প্রৌঢ়াকে নিয়ে যাওয়া হয়। আগেও তিনি দু’দফায় কেমেথেরাপি নিয়েছেন। এ বার তাঁর তৃতীয় দফার কেমোথেরাপি ছিল। মহিলার শারীরিক পরিস্থিতি দেখে তাঁর করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল- কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ এপ্রিল তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তিনি করোনা পজ়িটিভ। এরপরই ওই প্রৌঢ়াকে উলুবেড়িয়ার করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
শনিবার রাতে ওই প্রৌঢ়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পশ্চিম মেদিনীপুরে আসে। নড়েচড়ে বসে জেলা। জেলা স্বাস্থ্যভবনের এক সূত্রে খবর, আপাতত প্রৌঢ়ার সংস্পর্শে আসা ১৪ জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ৯জন ওই মহিলার পরিজন। তালিকায় আছেন প্রৌঢ়ার স্বামী, ছেলে, বৌমা, মেয়ে, জামাই প্রমুখ। সংস্পর্শে আসাদের মধ্যে রয়েছেন ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ও মালিকও। অ্যাম্বুল্যান্সের মালিক অবশ্য প্রত্যক্ষ নন, পরোক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন। জানা যাচ্ছে, অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের পালবাড়িতে। আর অ্যাম্বুল্যান্সের মালিকের বাড়ি শহরের মিঞাবাজারের এক এলাকায়। অন্য দিকে, করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি মেদিনীপুর গ্রামীণের পাথরার এক এলাকায়। রবিবার মেদিনীপুরের এই তিন এলাকাতেই গিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দল। সঙ্গে ছিল পুলিশও। জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা সকলেরই শারীরিক পরিস্থিতি ঠিকঠাকই রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কারও কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি।
জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই মহিলা হাওড়া থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। দেড় সপ্তাহেরও বেশি উনি ওখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy