মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
রাজ্য ছেড়ে ঘরে ফিরছেন ভিন্রাজ্যের নার্সরা। তাতে যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিরাট সঙ্কট দেখা দিতে পারে, সে আশঙ্কা ছিল। তবে পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিকল্প হিসেবে ‘পুরুষ ও মহিলা হেল্পার নিয়োগ’ করা হবে বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুলে দেওয়া হয়েছে অবসরপ্রাপ্তদের জন্য ফের আজে যোগ দেওয়ার রাস্তাও।
এ রাজ্যে কর্মরত মণিপুরের ১৮৫ জন নার্স তাঁদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬৯ জন। এই নার্সরা শহর কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক নার্স ফিরে যাওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেক নার্সকে নিয়ে চলে গিয়েছে কয়েকটি রাজ্য। রাজ্য থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ নার্স ফিরে গিয়েছে। চিকিৎসক-নার্স তৈরি করতে সময় লাগে। প্রাথমিক কাজ করতে পারেন, এমন লোকজনকে নিতে হবে। পুরুষ ও মহিলা হেল্পার নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগের আগে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’’ অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা নার্সরা আবেদন করলে তাঁদেরও সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হবে, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শহর কলকাতায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এই সব হাসপাতালের কর্মরত নার্সদের মধ্যে প্রায় চার ভাগের তিন ভাগই ভিন রাজ্যের। ভিনরাজ্যের নার্সদের মধ্যেও আবার সিংহভাগ উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের। উত্তরপূর্বের মণিপুর, সিকিম, ত্রিপুরার মতো রাজ্য থেকে যেমন নার্সরা আসেন, তেমনই রয়েছেন কেরল-তমিলনাড়ুর মতো রাজ্যের বাসিন্দারা। এ ছাড়া ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেকে আসেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলির নার্সিং পরিষেবার একটা বড় অংশই এই ভিনরাজ্যের নার্সদের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সেই নার্সরাই নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ায় রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছে বলে এই সব হাসপাতালগুলির কর্ণধাররা আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এ বার সেই সঙ্কটের উল্লেখ করে কিছুটা সুরাহার রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করল নবান্ন।
আরও পড়ুন: ২১ মে থেকে খুলবে সব বড় দোকান, কারখানা খুলবে এক দিন অন্তর, ঘোষণা মমতার
আরও পড়ুন: আপনার এলাকায় এ বার কী খুলবে, কী খুলবে না, দেখে নিন বিস্তারিত
অন্য দিকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালকেও সরকার নিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাল থেকে কেপিসি-তে করোনার চিকিৎসা শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy