ফাইল চিত্র
বেঙ্গালুরুতে শ্রমিকের কাজ করা এক যুবকের জ্বর এসেছিল মালদহের গাজোলের গ্রামে ফিরে। সে কথা জেনে আহোড়া গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে ডাক্তার দেখাতে বলেন। পরিবার তা করেননি বলে গ্রামবাসীদের দাবি। শেষে মঙ্গলবার গ্রামের লোকেরা যুবককে গ্রাম থেকে বার করে দেন বলে পরিবারের অভিযোগ। ওই দিনই পূর্ব বর্ধমানের কালনার একটি ঘাটে লঞ্চে চেপে আসা বিদেশি পর্যটকদের নামতে দেননি স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক যত বাড়ছে, তত ঘটছে এমন সব ঘটনা।
আহোড়া গ্রামের ওই যুবক মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করলে ফের তাঁকে পরিবারের লোক-সহ বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ওই যুবককে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করান। তিনি এখন পর্যবেক্ষণে আছেন। পরিবারের বক্তব্য, “ওষুধ খেয়ে জ্বর সেরে যায়। তার পরেও গ্রামবাসীরা ডাক্তারের কাছে যেতে চাপ দেন।” গাজলের বিধায়ক তৃণমূলের দিপালী বিশ্বাস অবশ্য বলেন, “ভিন্-রাজ্য থেকে কেউ গ্রামে ফিরলে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসী ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ভালই করেছেন।”
বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা এক যুবক এ দিনই চেন্নাই-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁকে কাশতে দেখে সহযাত্রীরা আরপিএফে খবর দেন। তাঁকে পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল স্টেশনে নামিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে, তাঁকে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বেঙ্গালুরুতে একটি রেস্তরাঁয় কর্মরত মালদহের এক বাসিন্দা বেঙ্গালুরু-নিউ তিনসুকিয়া এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন এ দিন। জ্বর, সর্দির উপসর্গ থাকায় তাঁকে খড়্গপুর স্টেশনের ‘থার্মাল স্ক্যানিং’ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে রেল হাসপাতালের ‘ফিভার ওয়ার্ডে’ ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান, ভয়ের কারণ নেই।
রেলের খড়্গপুর ডিভিশন জানায়, তমলুক স্টেশনে দিঘাগামী হাওড়া এসি এক্সপ্রেস থেকে ফ্রান্সের দুই পর্যটককে নামানো হয়। তমলুক হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষায় তাঁদের কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। প্রশাসন সূত্রের খবর, ফ্রান্সের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দু’জনকে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy