আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক।
নিউ ইয়র্কের চিড়িয়াখানায় নাদিয়া নামে একটি বাঘিনির শরীরে কোভিড১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই অবস্থায় দেশের সব ব্যাঘ্র প্রকল্প ও চিড়িয়াখানাকে সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্র। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেনদের নিজ নিজ এলাকার ব্যাঘ্র প্রকল্প সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক। সব রাজ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় জ়ু অথরিটি। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ‘কিপার’ বা পরিচর্যাকারীর কাছ থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে নাদিয়ার মধ্যে। লকডাউনের জন্য পর্যটক বা দর্শক না-থাকলেও কিপার, বনরক্ষী বা পরিচর্যাকারীদের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে দু’টি ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং ১২টি চিড়িয়াখানাতেও সতর্কবার্তা পৌঁছেছে। সোমবার এই নিয়ে বৈঠক করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ এ দিন থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় কিপারদের পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বর্মবস্ত্র চালু করা হয়েছে। বেড়েছে পশুপাখির স্বাস্থ্যে নজরদারি, পরিচ্ছন্নতার কড়াকড়িও।
বন দফতরের খবর, বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ-সহ বিড়াল গোত্রের বিভিন্ন প্রাণী এবং ভোঁদড়, বাঁদর প্রজাতির প্রাণীদের উপরে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালাতে হবে। বাঘ-সিংহের নাক দিয়ে জল গড়ালে বা করোনার উপসর্গ দেখলে তাকে আলাদা করে দিয়ে লালারসের নমুনা ভেটেরিনারি ইনস্টিটিউটে পাঠাতে হবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা-ব্যবস্থা নিয়ে প্রাণীদের খাওয়াতে ও পরিচর্যা করতে হবে কিপার বা পরিচর্যাকারীদের। চিড়িয়াখানা-চত্বর জীবাণুনাশক দিয়ে সাফ করতে হবে। বাঘের কোনও সংক্রমণ দেখা গেলেই ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ারভেশন অথরিটিকে জানাতে হবে। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘পশুদের আগেও করোনা সংক্রমণ হয়েছে। তবে তা কোভিড১৯ নয়। এই ধরনের সংক্রমণে পেটের অসুখ হত। সেই ধরনের উপসর্গেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: থানকুনি খেলেই করোনা সারবে? ফোন হেল্পলাইনে
বনমন্ত্রী রাজীববাবু বলেন, ‘‘পর্যটন বন্ধ করা হয়েছে। ফলে মানুষের কাছ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা কম। তবু নজরদারি আরও বাড়াতে বলেছি।’’ বন দফতরের খবর, রাজ্যের বৃহত্তম ব্যাঘ্র প্রকল্প সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের সঙ্গে মানুষের মোলাকাত তেমন হয় না। উত্তরবঙ্গের বক্সায় বাঘের দেখা শেষ কবে মিলেছে, বনকর্মীরাও চট করে মনে করতে পারেন না। তবে ওই দু’টি ক্ষেত্রেও নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। স্টেট জ়ু অথরিটির সদস্য-সচিব বিনোদকুমার যাদব বলেন, ‘‘আমরা আগে থেকেই চিড়িয়াখানা বন্ধ করে জীবাণুনাশক ছড়াচ্ছি। কিপারদের বাড়ির কাপড় ছেড়ে অন্য পোশাক পরে জীবজন্তুদের কাছে পাঠাচ্ছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় এই সব ব্যবস্থারই প্রতিফলন ঘটেছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy