চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা না মানায় ওই নার্স আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা স্পষ্ট নয়। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে এই প্রথম কোনও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হলেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ওই নার্স। এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গে আরও ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে রাজ্যে তরফে সরকারি ভাবে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
ওই নার্স মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। তিনি যে হাসপাতালে কাজ করেন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন করোনা-আক্রান্ত এক বৃদ্ধা। সম্প্রতি ইটালি থেকে ঘুরে আসা ওই বৃদ্ধা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমস্ত উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পর তাঁর লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠালে সেই রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায় বুধবার রাতে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার চিকিৎসার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এই নার্স। তাঁকে ওই হাসপাতালেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা না মানায় ওই নার্স আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, ওই নার্সের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করতে হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই নার্সের পরিবারের দু’জনকে কোয়রান্টিন (নিভৃতবাস)-এ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
আরও পড়ুন: তবলিগ নিয়ে আরও কড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, কালো তালিকাভুক্ত ৯৬০ বিদেশি
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে আরও ৬ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব। কালিম্পঙের যে মহিলা করোনা-আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, এঁরা সবাই তাঁরই আত্মীয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার সংস্পর্শে আসা ২৭ জন নিভৃতবাসে রয়েছেন কালিম্পঙের দিশা কোয়রান্টিন সেন্টারে। জলপাইগুড়ির রানিনগরের কোয়রান্টিন সেন্টারে ১৪ জন রয়েছেন। ওই ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনের লালারসের নমুনা প্রথমে পরীক্ষা করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে। সেখানে ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। এর পর ওই ৬ জনের রিপোর্ট পাঠানো হয় কলকাতায় নাইসেডে। সেখানকার রিপোর্ট বৃহস্পতিবার রাতে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছনোর পর ওই ৬ জনকে কোয়রান্টিন থেকে সরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে ১০ লক্ষ ছাড়াল আক্রান্তের সংখ্যা, সবচেয়ে সঙ্কটে আমেরিকা
তবে, এই সাত জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এখনও সরকারি ভাবে স্বাস্থ্যভবনের করোনা বুলেটিনে প্রকাশ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রান্ত সেই বুলেটিন প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য দফতরের করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায় রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫৩ এবং মারা গিয়েছেন ৭ জন। কিন্তু তার পরে মুখ্যসচিব রাজিব সিংহ জানান, রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ এবং করোনায় মারা গিয়েছেন ৩ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy