কলকাতা পুরসভায় প্রতি দিন গড়ে ৮০০ জনের অ্যান্টিজেন টেস্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফাইল ছবি
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে কম সময়ে করোনা রোগীদের শনাক্তকরণ করতে চায় কলকাতা পুরসভা। আরটিপিসিআর-এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ টেস্ট করতে অনেক সময় লাগছে। এর পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট করে আরও তাড়াতাড়ি করোনা রোগীদের চিহ্নিত করে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চায় রাজ্য। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে।
কলকাতা পুরসভায় আপাতত প্রতি দিন গড়ে ৮০০ জনের অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। একটি কিটের মধ্যে ১০ জনের লালরসের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। তাড়াতাড়ি পজিটিভ বা নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তাতে দ্রুত করোনা রোগীদের চিহ্নিত করা যাবে বলেই মনে করছেন পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। প্রশাসক মণ্ডলীল ভাইস চেয়ারম্যান অতীন ঘোষ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান ফিরহাদ হামিক চাইছেন প্রতিটি বরোতে প্রতিদিন ৫০টি করে টেস্ট হোক। আমার সেই পথেই হাঁটতে চলেছি। আইসিএমআর নতুন কিট পাঠিয়েছে। ওই কিটেই টেস্ট হবে।” তিনি আরও বলেন, “করানোতে কাজ হারিয়েছেন। যাঁরা করোনা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের বরোভিত্তিক কাজে লাগানো হবে। তাঁদের একটা ভাতাও দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: অগস্টে ৯ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন রাজ্যে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
চলতি সপ্তাহ থেকেই লালরসের নমুনা পরীক্ষা হবে। অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়ে। পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহারের জন্য আইসিএমআর গত ১৫ই জুন এই পদ্ধতিতে সিলমোহর দিয়েছে। মাইক্রোবায়োলজিস্ট উজ্জয়িনী খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আরটিপিসিআর টেস্ট জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে র্যাপিড টেস্ট করা হয়। ভাইরাল লোড বেশি থাকলে ৭০ শতাংশ পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ১০ মিনিটের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর কিট দিচ্ছে। আইসিএমআর মান্যতা দিয়েছে। ভাইরাল লোড কম হলে তখন আরটিপিআর টেস্ট করতে হয়।”
আরও পড়ুন: প্রায় উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গের করোনা আক্রান্তরা কী করবেন?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, আরটিপিসিআর টেস্ট সময়সাপেক্ষ তাই ব্যাপকভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়লে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা দরকার। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছেও কিট এসে গিয়েছে। র্যাপিড টেস্ট শুরু হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ফলস নেগেটিভ আসে। তাই প্রয়োজন হলে উপসর্গ থাকলে আরটিপিসিআর করা দরকার। ব্যাপক হারে টেস্ট করতে গেলে এই র্যাপিড টেস্টের সাহায্য নিতে হবে।”
আরও পড়ুন: আসল এন৯৫ চিনবেন কী করে? সংশয় হলে কী করবেন?
চিকিৎসকদের দাবি, এই পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত করোনা রোগীদের শনাক্ত করে তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো সম্ভব। ফলে রোগ ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো যাবে। এবং তাঁর দ্রুত চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা সম্ভব। এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, “বেশি টেস্ট হচ্ছে, তাই আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। আমরা বেশি করে টেস্ট করছি। বাংলায় অন্য রাজ্যের চিকিৎসা চলছে। আমাদের মতো ব্যবস্থা কোথাও নেই। আমরা অ্যান্টিজেন টেস্ট করব। পরীক্ষার ফল দ্রুত পাওয়া যায়।”
আরও পড়ুন: কোন কোন ধরনের টেস্ট করা হয় কোভিডে, কারা করাবেন?
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy