বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
‘বাংলায় থাকতে চাই না’, বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমার অবস্থানে কোনও বদল হয়নি।’’ সেই সঙ্গেই জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পাহাড়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না বলেও পুরনো বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই মন্তব্যকে সামনে রেখে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় বিধায়কের বক্তব্যে অবশ্য সায় দেয়নি বিজেপি।
রাজ্যভাগের চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে শাসক শিবির। বিধানসভার চলতি অধিবেশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গ্রহণের উদ্যোগও নিয়েছে সরকারপক্ষ। এই প্রেক্ষাপটেই এ দিন কার্শিয়াঙের এই বিজেপি বিধায়ক ফের আলাদা রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এ দিন আলিপুরদুয়ারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘কে রাজ্য ভাগ চায়? বিজেপি রাজ্য ভাগ চায় না। আমরা কখনও সে কথা বলিনি।’’
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, ‘‘উনি (বিষ্ণুপ্রসাদ) ভেবে দেখুন কোথায় থাকবেন। বিজেপি রাজ্য ভাগ চায় না। দল নীতির ভিত্তিতে চলে, ব্যক্তির চাওয়া না চাওয়ায় নয়।’’
এ দিকে বিরোধী বিধায়কের এই মন্তব্যকে সামনে রেখে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সব ক্ষেত্রে মুখে এক কথা আর কাজে আর একটা। ঝুলি থেকে বেড়াল বার করে দিয়েছেন ওদেরই বিধায়ক। এটাই বিজেপির দ্বিচারিতার প্রমাণ।’’
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন করে তরজায় ফিরেছে পৃথক রাজ্যের দাবি। রাজ্য ভাগের চক্রান্তের অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গে বিরোধী বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করতে মাঠে নেমে পড়েছে শাসক দল। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গ তুলে বারবার আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকে। বিধানসভার চলতি অধিবেশনে এ নিয়ে একটি প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারপক্ষ। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই আলোচনা হতে পারে। তার আগে এ দিন বিষ্ণুপ্রসাদ বলেন, ‘‘প্রস্তাব এলে আমার অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দেব।’’
এ দিন রাজ্যপালের বক্তৃতা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেপির এই বিধায়ক বলেন, ‘‘জিটিএ-র নির্বাচন কাজকর্ম নিয়ে রাজ্যপালের বক্তৃতায় সরকারের সাফল্য দাবি করা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ জিটিএ চায় না। জিটিএ পাহাড়ের স্বপ্নপূরণ করতে পারবে না।’’ সেই সঙ্গেই রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে জিটিএ নির্বাচন করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
পাহাড়ের আর এক নেতা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা বলেছেন, ‘‘বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার আলাদা রাজ্য দেওয়ার মালিক। তারাই ঠিক করুক পাহাড়ে কী হবে। আমরা তো পাহাড়ের উন্নয়নের পক্ষে। ও সব আবেগ নিয়ে রাজনীতি নতুন করে করছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy