কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। জমি দুর্নীতির মামলায় তাঁর স্ত্রীকে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। —ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী বিএম পার্বতীকে এ বার জমি দুর্নীতির মামলায় নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। নোটিস পাঠানো হয়েছে কর্নাটকের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বি সুরেশকেও। মাইসুরু নগরোন্নন নিগম (মুডা) দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর। জমি বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এ বার সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রীকে নোটিস পাঠাল ইডি।
মাইসুরুর অভিজাত এলাকায় স্ত্রীর নামে ১৪টি জমি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী এবং শ্যালকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্নেহময়ী কৃষ্ণ নামে এক সমাজকর্মী। তাতে বলা হয়, ‘মুডা’র জমি বেআইনি ভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। স্নেহময়ীর দাবি, মল্লিকার্জুন জমির জন্য জাল নথিপত্র পেশ করেছেন ‘মুডা’র দফতরে। অন্য দিকে, পার্বতীকেও বেআইনি ভাবে অভিজাত এলাকায় বহুমূল্য জমির মালিকানা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
গত বছরের অক্টোবরে জমি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করে ইডি। মামলায় মূল অভিযুক্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালকও এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমোদন দিয়েছিলেন সেখানকার রাজ্যপাল থবরচাঁদ গহলৌত। এই মামলার তদন্তে গত বছরে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ইডি। মাইসুরুতে ‘মুডা’র অফিস-সহ আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। বেঙ্গালুরু আঞ্চলিক অফিসে ‘মুডা’র বেশ কয়েক জন নিচু স্তরের আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সমাজকর্মী স্নেহময়ীকেও তলব করেছিল ইডি। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। এ বার সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রীকেও নোটিস পাঠাল ইডি।
কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকের ব্যাখ্যা, এটি একটি নিয়মমাফিক আইনি প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, “ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও সিবিআই, ইডি এবং লোকায়ুক্ত থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এটি একটি নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া। এর উপর কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কোনও প্রভাব থাকে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy