উত্তর ২৪ পরগনা সফর সেরে কলকাতায় ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার টাকিতে হেলিকপ্টারে ওঠার আগে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
হিঙ্গলগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচি আদৌও সরকারি ভাবে নির্দিষ্ট ছিল কি না, এ বার সেই বিতর্ক সামনে এল। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসকের সই করা একটি নির্দেশিকায় দেখা যাচ্ছে, তিনদিনে ১৫ হাজার শীতবস্ত্র পাঁচটি ব্লক থেকে বিলি করার কথা হয়। বৃহস্পতিবার সে কথা জানিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রীতি গয়াল বলেন, ‘‘প্রথমে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে তা পরিবর্তন করা হয়।’’ এবং মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরদিনই সেই শীতবস্ত্র কেন্দ্রীয় ভাবে শামসেরনগরের মাঠে বিলি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনদিনের এই সফর সেরে এ দিনই কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিকে, ওই সরকারি বিজ্ঞপ্তিকে সামনে রেখে বিজেপি ও সিপিএম গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছে। সেদিনের ওই কর্মসূচি সংক্রান্ত ‘প্রশাসনিক আদেশ’ টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘ওই সভামঞ্চ থেকে বস্ত্র বিলির সেই রককম কোনও কর্মসূচিই ছিল না। নিজের গরিব- দরদী ভাবমূর্তি তৈরি করতে অফিসারদের ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে।’
একই অভিযোগ করে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘শীতবস্ত্র কিনিয়ে বিলি করাটা কি মুখ্যমন্ত্রীর কাজ? ওই মঞ্চে শীতবস্ত্র যাওয়ার কথাই ছিল না।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলার পরে ৩৭ কিলোমিটার দূর থেকে যে ভাবে বস্ত্র পৌঁছে গিয়েছে, তাতে বোঝা যায় জেলাশাসক, মহকুমা শাসকদের জাদু-ক্ষমতা আছে! ধমক নয়, ওঁদের পদোন্নতি উচিত!’’
শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিরোধীদের এই আক্রমণকে ‘অসহায়ের আর্তনাদ’ বলে উল্লেখ করেছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবেই মানুষের হয়ে কথা বলতে অভ্যস্ত আছে। তার সামনে এই নেতারা অসহায় বলেই এ সব বলে বাজার গরম করতে চাইছেন।’’ প্রশাসনিক নির্দেশিকা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রশাসনিক ভাষা আর কাজের পদ্ধতি বুঝতে ভুল করেছে বিরোধীরা।’’
এ দিন কলকাতায় ফেরার আগে টাকির আরও একটি স্কুল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে বসিরহাট মহকুমায় শুরু ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নিয়ে স্থানীয় পুর চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। গত তিনদিন বিভিন্ন জায়গায় এই প্রকল্প নিয়ে যে সব অভিযোগ তিনি পেয়েছেন তা এড়াতে পরামর্শও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy