বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।—ফাইল চিত্র।
সংক্ষিপ্ত কিন্তু ইঙ্গিতবাহী একটি ফেসবুক পোস্ট। দলবদলের ‘মরসুমে’ বিষ্ণুপুরে যা জন্ম দিয়েছে এক রাজনৈতিক বিতর্কের।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মঙ্গলবার তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। লেখেন, ‘বিষ্ণুপুরের চেয়ারম্যান আর তার সাথীদের দলে আনলে পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হবে’। সম্প্রতি তৃণমূল পরিচালিত বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের বিজেপিতে ‘যোগদান’ নিয়ে জেলায় জল্পনা চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। সেই প্রেক্ষাপটে সাংসদের এ দিনের ফেসবুক পোস্টে ওই জল্পনা আরও তীব্র হয়। যদিও শ্যামবাবুর মন্তব্য, সৌমিত্রর ফেসবুকের কোনও ‘ভিত্তি’ নেই।
সাংসদ হোক বা বিধায়ক— দলবদলের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের সম্পর্ক বেশ নিবিড়। ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ হয়েছিলেন সৌমিত্র। এ বার তিনি ওই কেন্দ্রে জিতেছেন বিজেপির টিকিটে। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা ভোটের পর ফের শিবির বদলে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই শ্যামবাবু বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। সেই প্রেক্ষিতে সৌমিত্রর ফেসবুক পোস্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
ফেসবুক পোস্টে শ্যামবাবুর নাম উল্লেখ করেননি সৌমিত্র। তবে ফোনে তিনি স্পষ্টই জানান, ফেসবুক পোস্টে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধানকেই তিনি নিশানা করতে চেয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শ্যামবাবু বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু বিষ্ণুপুরের মানুষ চান না উনি বিজেপিতে যাক। ওঁর জনভিত্তি শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ বিষ্ণুপুরের ‘সাধারণ মানুষের কথা’ই তিনি ফেসবুকে তুলে ধরেছেন বলে দাবি করেন সাংসদ। সৌমিত্রের দাবি, ‘‘দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আমি বলেছি, শ্যামবাবুকে দলে নিলে বিষ্ণুপুরে দলের ক্ষতি হবে।”
এ দিকে সৌমিত্রর ফেসবুক পোস্টকে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে শ্যামবাবু জানিয়েছেন, তাঁর বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে যে জল্পনা চলছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। সাংসদের উদ্দেশে পাল্টা তোপ দেগে শ্যামবাবু বলেন, “সৌমিত্রর যেমন চরিত্র, ও তেমনই কাজ করেছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি বিজেপিতে যাচ্ছি, এমন একটা গুজব তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। এটা একেবারেই মিথ্যে।’’ সঙ্গে কটাক্ষ, ‘‘সৌমিত্রর পোস্টকে কেউ গুরুত্ব দেয় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy