কাঁথির নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরির দু’রকম অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট।
কাঁথির নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরির দু’রকম অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, সিঙ্গল বেঞ্চে মামলকারী বলেছিলেন আত্মসমর্পণ করবেন। এখন বলা হচ্ছে, আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে। দুই জায়াগায় ভিন্ন অবস্থান কেন? হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনও ‘ত্রুটি’ থাকলে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারতেন শুভদীপ। কিন্তু তিনি তা করেননি।
নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে শুভদীপকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যান কাঁথির ছাত্রনেতা। মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, শুভদীপ এবং নাবালিকা মেয়েটির মধ্যে অনেক দিন ধরেই ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। এখন ভিডিয়ো দেখিয়ে হুমকির অভিযোগও ভিত্তিহীন। কারণ, শুভদীপের ফোন পুলিশের কাছে জমা ছিল। তাঁর আইনজীবীর যুক্তি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত তদন্তকারী অফিসারের রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি যদি প্রয়োজন মনে করেন গ্রেফতার করবেন। সিঙ্গল বেঞ্চের এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
এর আগে এই মামলায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার পুলিশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানায়, এই মামলায় গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। শুভদীপের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুনানিতে নাবালিকার নির্যাতিতার আইনজীবীর সওয়াল, নির্যাতিতা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দু’জনের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। গর্ভপাত করাতে বাধ্য করা হয়েছিল। পকসো আইনে অনেক ক্ষমতা রয়েছে। কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠলে পুলিশ গ্রেফতার না করে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস পাঠাবে? মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আপাতত রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy