কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
স্বেচ্ছায় নাকি অনিচ্ছায় তা পরের কথা। তবে ধর্ষণ হয়েছে এ কথা সত্য। তাই অভিযুক্তকে শাস্তি পেতেই হবে। এক নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় এমনটাই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার আদালতের নির্দেশ, ১৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় কোনও সাজা মকুব হবে না। নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছিল তাই-ই বহাল থাকবে।
২০১০ সালে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থেকে রাতের অন্ধকারে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে আমিরুল গাজি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তোলে নাবালিকার পরিবার। সেই মতো তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রায় পাঁচ মাস পর হুগলির বলাগড় থেকে ওই নাবালিকা এবং অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, আমিরুল এবং তাঁর সঙ্গীরা ঘটনার দিন ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ ওই নাবালিকাকে অপহরণ করেছিল। তার পর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযুক্তরা তা অস্বীকার করেন। তাঁদের দাবি, ওই নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল আমিরুলের। বলপূর্বক নয়, স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে এসেছিল ওই নাবালিকা। তবে নিজেদের দাবির সপক্ষে জোরালো কোনও যুক্তি দিতে পারেননি অভিযুক্তরা।
অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ১০ বছরের জেল ও জরিমানার সাজা ঘোষণা করে নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মূল অভিযুক্ত আমিরুল। তাঁর আবেদন, জোর করে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যাননি। ওই নাবালিকার জোর করে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে দিয়েছিল বাবা। তাতে তার মায়ের আপত্তি ছিল। তিনিই ওই নাবালিকাকে হাতে তুলে দেন। এই মামলায় আদালত জানায়, প্রায় ১১ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। তা থেকে পরিষ্কার এই ঘটনায় জটিলতা রয়েছে। আবার ধর্ষণের অভিযোগও সত্য। ফলে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছার বিষয়টিকে সরিয়ে রাখা প্রয়োজন। সেই কারণে নিম্ন আদালতের সাজা ভোগ করতে হবে অভিযুক্তদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy