রাজভবনে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। —নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালু করার দাবি ঘিরে বাংলায় যে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার নিরসনে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের আর্জি জানাল প্রদেশ কংগ্রেস। একই দিনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করল এনআরসি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চও।
এনআরসি-র নামে আতঙ্কের জেরে মানুষ হন্যে হয়ে নানা নথিপত্র হাতড়াচ্ছেন, বাংলায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে— এই পরিস্থিতির কথা শুক্রবার রাজ্যপালকে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার ও আব্দুস সাত্তার। যে সংসদীয় কমিটির কাছে নাগরিকত্ব বিল গিয়েছিল, তার সদস্য ছিলেন প্রদীপবাবু। তিনি রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানান, ধর্মের নামে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না এবং বাংলায় এনআরসি প্রযোজ্য নয়, এই বিষয়গুলি তিনি যেন কেন্দ্রীয় সরকারকে অবহিত করেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবু বলেন, ‘‘অসম আর বাংলার পরিস্থিতি এক নয়। অথচ এখানে এনআরসি চালু করা হবে বলে প্রচার চলছে, মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা চলছে।’’ আম জনতার উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘‘গুজবে কান দেবেন না, অযথা আতঙ্কিত হবেন না। এখানে আমরা এনআরসি চালু হতে দেব না। পুজোর পরে আন্দোলনেও নামব।’’
শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত এ দিন মিছিল করে যুক্ত মঞ্চ। পরে মঞ্চের তরফে রাজভবনে যান প্রসেনজিৎ বসুরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’র সংজ্ঞাতেই সমস্যার বীজ নিহিত। নাগরিকত্ব বিলে এখন যে সংশোধনীর কথা বলা হচ্ছে, তারও তীব্র বিরোধিতা করেন তাঁরা।
শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত যুক্ত মঞ্চের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যপাল ধনখড়ের কাছে সোমেনবাবুদের আরও অভিযোগ, গাঁধীজি’র জন্মের দেড়শো বছর উপলক্ষে তথ্য ও চিত্র-প্রদর্শনীর জন্য মেট্রো চ্যানেল চেয়েও তাঁরা পাননি। অতীতে রাহুল গাঁধীর জন্য নেতাজি ইন্ডোর মেলেনি অথচ এখন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে ইন্ডোরে সভা করতে দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy