—ফাইল চিত্র।
পুলিশ-কর্তা রাজীব কুমার এবং সিবিআইয়ের টানাপড়েন অব্যাহত। এরই মধ্যে এ বার বিজেপি নেতাদের মন্তব্যের জন্য তাঁদের নিশানা করল দুই বিরোধী বাম ও কংগ্রেস।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় পরপর দু’দিন মন্তব্য করেছেন, ‘‘রাজীব কুমারকে সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে। তিনি মুখ খুললে তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রী বিপদে পড়বেন। এখন বাঁচার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।’’ নিজেদের ‘কোমরে দড়ি’ পরা ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন, এই দাবি কংগ্রেস ও বাম নেতারাও করেছেন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এই কথা বলে নিজেরাই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, তারা সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে!
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বুধবার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও গড়াপেটা করতে গিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্ন আমরা তুলেছি। কিন্তু বিজেপি নেতা বিজয়বর্গীয়ের এই কথা বলার মানে কী? উনি স্পষ্ট করে দিলেন, আমরা বারবার যে কথা বলে আসছি, সেটাই ঠিক! সিবিআই, ইডি-কে ব্যবহার করে বিজেপি পি চিদম্বরমের মতো বিরোধীদের হয়রান করে আর তাদের কাছে গেলে বাঁচানোর রাস্তাও করে দেয়!’’ একই ভাবে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি নেতারা নিজেরাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা ‘সেটিং’-এর অঙ্গ! এর পরেও মানুষ কেন বিজেপি-কে বিশ্বাস করবে?’’ তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘বিজয়বর্গীয় কোনও সরকারি পদে নেই। তা সত্ত্বেও মধ্যপ্রদেশ থেকে এসে তিনি সিবিআই তদন্ত নিয়ে মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, সিবিআই বিজেপির হাতে রাজনৈতিক যন্ত্র!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy