—প্রতীকী ছবি।
একাদশ থেকে দ্বাদশে ওঠার পরীক্ষার সূচি নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন শিক্ষকেরা। এত দিন ওই পরীক্ষা নিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু এ বার তা নিতে হবে স্কুলগুলোকেই। আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই একাদশের পরীক্ষাও হয়ে যেত। এ বার সেই সূচিরও কিছু পরিবর্তন করতে হবে। আর তা করতে গিয়েই নানা সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষকেরা।
তাঁরা জানাচ্ছেন, এর আগে যে দিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার যে বিষয়ের পরীক্ষা হত, সে দিন একাদশ শ্রেণিরও সেই বিষয়ের পরীক্ষা হত। উচ্চ মাধ্যমিক হত সকাল দশটা থেকে একটা পর্যন্ত। একাদশের পরীক্ষা হত দুপুর দুটো থেকে পাঁচটা। এ বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পাল্টে বারোটা থেকে তিনটে পনেরো করা হয়েছে। ফলে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে নেওয়া যাচ্ছে না।
শিক্ষকদের একাংশের মতে, এর ফলে একাদশের পরীক্ষা নিতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে। তাঁদের অভিযোগ, উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে একাদশের পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় তাদের ফল অনেক আগে প্রকাশ করা যেত এবং দ্বাদশের ক্লাস অনেক দ্রুত শুরু হয়ে যেত। কিন্তু এ বার উচ্চ মাধ্যমিকের পরে একাদশের পরীক্ষা হলে দ্বাদশের ক্লাস শুরু করতে দেরি হবে। পাঠ্যক্রম কী ভাবে শেষ হবে, উঠছে সেই প্রশ্নও।
পাশাপাশি এ বার যেহেতু স্কুলকেই একাদশ থেকে দ্বাদশে ওঠার পরীক্ষা নিতে হবে, তাই প্রশ্নপত্র ছাপা, খাতা কেনার খরচ সবই স্কুলকেই বহন করতে হবে। অনেক স্কুলের পক্ষে সেই খরচ বহন করাও বেশ কষ্টকর। কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন জানিয়েছে, এই বিষয়ে তারা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
সংসদ কেন একাদশ থেকে দ্বাদশে ওঠার পরীক্ষার দায়িত্ব ছেড়ে দিল? শিক্ষকদের একাংশের মতে, গত বছর ওই পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্নপত্র আগাম ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তখন সংসদের পরীক্ষার ব্যবস্থার উপরে আঙুল ওঠে। তাই নতুন ব্যবস্থা। যদিও সংসদের এক কর্তা জানিয়েছেন, সমস্ত বোর্ডেই একাদশ থেকে দ্বাদশে ওঠার পরীক্ষা স্কুলই নেয়। একমাত্র সংসদই এত দিন একাদশ থেকে দ্বাদশের পরীক্ষার দায়িত্ব বহন করে আসছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy