Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
India-Bangladesh Border

সীমান্ত খোলা, সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

কেন্দ্রের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খোলা সীমান্ত দিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে ভিড়ে মিশে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা এ-পারে আসতে পারে। তা নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে।

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২১
Share: Save:

এ রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে এখনও সব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে বিএসএফের উদ্বেগ যাচ্ছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, জঙ্গি বা বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এর সুযোগ নিয়ে ঢুকে পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এ নিয়ে বিএসএফের প্রতিটি ফ্রন্টিয়ারে সতর্কবার্তা এসেছে।

কেন্দ্রের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খোলা সীমান্ত দিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে ভিড়ে মিশে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা এ-পারে আসতে পারে। তা নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মালদহ, শিলিগুড়ির মতো সীমান্তে বাড়তি নজরদারির কথা বলা হয়েছে।

বিএসএফ সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল থেকে শুধু জঙ্গিরা নয়, নানা মামলার দুষ্কৃতীরাও ছাড়া পেয়েছে। এদের একাংশ বিভিন্ন ভাবে পাচার, চোরাকারবার-সহ ভারত-বিরোধী নানা কাজে জড়িত। এরাও যাতে নতুন করে সীমান্তে সক্রিয় হতে না হতে পারে সে দিকেও খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার-সহ একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশিদের ‘এজেন্ট’রা রয়েছে। নানা কাজে বিভিন্ন সময়ে তাদের ব্যবহার করার নজিরও রয়েছে। সেই ভারতীয় এজেন্টদের দিকেও বাড়তি নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।

শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ায় কাঁটাতারহীন সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। সেখানে মহানন্দা নদীই দুই দেশের সীমান্ত। নদীতে বালি তুলত বাংলাদেশিরা। সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি লাগোয়া সীমান্তে, বিশেষত কাঁটাতারহীন এলাকার সীমান্ত সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষ এবং যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরজি পার্টির মতো সীমান্তে গ্রামভিত্তিক কমিটি গড়ছে বিএসএফ। জেলাস্তরেও কমিটি গড়া হয়েছে। তাতে প্রশাসনের আধিকারিকেরাও আছেন। এই কমিটির মূল কাজ অনুপ্রবেশ রোখা এবং সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের খবর আগে থেকে জোগাড় করা। বিএসএফ সূত্রের খবর, দক্ষিণ বেরুবাড়ি লাগোয়া সীমান্তের ও পারের গ্রামগুলিতে এখনও জটলা করে আছেন বাসিন্দারা।

জওয়ানদের নজরদারি চলছে কোচবিহারের শীতলখুচির সীমান্ত গ্রাম পাঠানটুলিতে। খর্বা নদীর ও পারে অবশ্য শনিবার বিকেল পর্যন্ত জমায়েত হয়নি। বিএসএফের নজরদারি ছিল। অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘যাঁরা ভাবছেন অসম, ত্রিপুরা, আর বাংলা দখল করবেন, সেই সব জেহাদিদের বলছি— আপনারা যোগ্য জবাব পেয়ে যাবেন।’’

বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত-বাণিজ্য এ দিন প্রায় স্বাভাবিকই ছিল। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের পরে শনিবার কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করেছে। ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়েও রফতানি বাণিজ্য চালু ছিল। উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতি-শুক্রবারের তুলনায় এ দিন কম যাত্রী যাতায়াত করেছেন বলে বন্দর
সূত্রের খবর।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশিদের মেডিক্যাল ভিসা ছাড়া এ দেশের আর কোনও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া বন্ধ। ভারতীদের বাংলাদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, এ দিন তিন ঘণ্টা অনলাইনে কাজ বন্ধ থাকায় পণ্য রফতানি কম হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE