—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্য জুড়ে বেশ কিছু স্কুল থেকে অভিযোগ আসছে, পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের একাংশের দাবি, পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়াতেই এই কাণ্ড। তবে, শিক্ষা দফতর তা মানতে নারাজ।
সোমবার শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়নি। স্কুলের যে সব শিক্ষক পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর পোর্টালে তুলেছেন, তাঁদের কেউ কেউ হয়তো অসতর্কতায় নম্বর লিখতে ভুল করেছেন। অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল লেখা হয়েছে। এফআইআর দায়ের হয়েছে।” এক শিক্ষাকর্তা জানান, টাকা উদ্ধার হলে ফের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্রের বক্তব্য, “পড়ুয়াদের হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টের টাকা তো আর প্রধান শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে না। তা হলে তাঁকে দোষী বলা হচ্ছে কেন?” দুর্গাপুরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “চতুর্থীর দিন ওই ১০ হাজার টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। বাংলা শিক্ষা পোর্টালের সার্ভার অনেক সময়েই ডাউন থাকায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট নম্বর আপলোড করা যাচ্ছিল না। প্রযুক্তিগত এই সমস্যার দিকে নজর না দিয়ে প্রধান শিক্ষকদের দোষারোপ করা হচ্ছে কেন?” বাঙুরের নারায়ণ দাস মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “শুধু হ্যাক হওয়ার সমস্যাই নয়, অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করার অভিযোগও পেয়েছি। অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে সরাসরি ট্যাব কিনে দিলে এ সব ঝামেলা থাকবে না।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “ট্যাব কিনে দেওয়া হবে কি না, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষা দফতর সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy