কোনও ঘটনার তদন্তে একটি কমিশন গঠিত হয়ে গেলে দ্বিতীয় বার কমিশন গড়ার এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই বলে জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন প্রাক্তন সিপিএম মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলায় হাইকোর্ট শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে, আনন্দমার্গীদের পুড়িয়ে মারার ঘটনার তদন্তে সরকারের গড়া বিচারপতি অমিতাভ লালা কমিশনের বৈধতা রয়েছে। যদিও ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রায় ৩৪ বছর আগেই একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গড়া হয়েছিল।
একই সঙ্গে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এ দিন জানান, বিচারপতি লালার কমিশন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা কান্তিবাবুকে যে-কোনও প্রশ্ন করতেই পারে। তবে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বা না-দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে কান্তিবাবুর। এই নিয়ে অন্য কোনও পক্ষের আইনজীবীরা কান্তিবাবুকে জেরা করতে পারবেন না।
১৯৮২ সালে কসবার বিজন সেতুতে ১৭ জন আনন্দমার্গীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সেই বছরেই প্রাক্তন বিচারপতি সমরেন্দ্রচন্দ্র দেবকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিশন গড়েছিল বামফ্রন্ট পরিচালিত তদানীন্তন রাজ্য সরকার। একই ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার ২০১২ সালে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালাকে চেয়ারম্যান করে আরও একটি কমিশন গঠন করে।
সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারিতে লালা কমিশনের সামনে এক বার হাজিরও হন কান্তিবাবু। তার পরে সরকারের এই কমিশন গড়ার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। এ দিন সেই মামলারই রায় দেন বিচারপতি দত্ত। লালা কমিশনের বৈধতার কথা জানিয়ে রায়ে বলা হয়েছে, ওই কমিশন কান্তিবাবুকে প্রশ্ন করতে পারবে। কিন্তু কোনও পক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy