অতিমারিতে ইউজিসি-র বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী কলেজগুলিকে প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নিয়ে খাতা দেখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে নম্বর আপলোড করতে হয়েছে। সেই বিপুল চাপ সামলে উঠতে না-উঠতেই স্নাতক স্তরের অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা এবং ব্যাকলগের সব পরীক্ষার দায়িত্ব কলেজগুলির উপরে চাপিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে চূড়ান্ত বর্ষ ও চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষার মতোই কলেজগুলিকে দায়িত্ব নিয়ে অনলাইনে প্রশ্ন করতে হচ্ছে, পরীক্ষা নিতে হচ্ছে, খাতা দেখতে হচ্ছে এবং নম্বর আপলোড করতে হচ্ছে। ২৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে নম্বর আপলোডের শেষ দিন। প্রচণ্ড চাপের মুখে সেই সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন অনেক অধ্যক্ষ।
ব্যাকলগ অর্থাৎ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার্থীদের তালিকায় ২০১২-র বিএ, বিএসসি পরীক্ষার্থীরাও আছেন। অনেক কলেজের বক্তব্য, ওই পড়ুয়াদের খুঁজে বার করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার উপরে এত পরীক্ষা নিয়ে খাতা দেখে নম্বর আপলোড করা। এক অধ্যক্ষের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টাল প্রায়ই ডাউন থাকে। ফলে শিক্ষকেরা সময়মতো নম্বর আপলোড করতে পারছেন না। অনেক বিষয়ে এক বার পরীক্ষা নিয়ে ফের তা নিতে হবে কি না, তা ভাবতে হচ্ছে। কারণ, বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীর বক্তব্য, পরীক্ষার কথা তাঁরা জানতেন না। কলেজ ওয়েবসাইটে পরীক্ষাসূচি প্রকাশ করলেও বহু পড়ুয়া সময়মতো সেগুলি দেখে উঠতে পারেননি। এই অবস্থায় প্রতি বিষয়ে প্রায় ১৪ ধরনের প্রশ্নপত্র করতে হচ্ছে কলেজকে। তার উপরে আছে কলেজে ভর্তি এবং নবাগতদের রেজিস্ট্রেশনের চাপ।