মেদিনীপুর
দায়িত্ব নেওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের নিজস্ব লোগো প্রকাশে উদ্যোগী হলেন জেলাশাসক রশ্মি কমল।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে জেলার প্রস্তাবিত একটি লোগো প্রকাশও করেছেন তিনি। ওই লোগোয় ধামসা- মাদলের ছবি রয়েছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম বা আদিবাসী অধ্যুষিত কোনও এলাকায় গেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথায় বারবার উঠে আসে ধামসা-মাদলের অনুসঙ্গ।
প্রস্তাবিত এই লোগো প্রকাশ করে মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। অনেকে মতামত জানিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রস্তাবিত আরও একাধিক লোগো প্রকাশ করা হতে পারে। সেই ক্ষেত্রেও মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হবে। পরে সবদিক খতিয়ে দেখে জেলার জন্য নিজস্ব একটি লোগো চূড়ান্ত করবেন জেলাশাসক। রশ্মি বলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুরের নিজস্ব একটি লোগো করা হবে। ফেসবুকে আমরা একটি লোগো দিয়েছি। মানুষের মতামতও জানতে চেয়েছি। সবদিক খতিয়ে দেখে শীঘ্রই জেলার নিজস্ব লোগো চূড়ান্ত করা হবে।’’
শহরের বাসিন্দা জাকির খান লিখেছেন, ‘লোগোটি খুব সুন্দর হয়েছে। আমার মনে হয়, মেদিনীপুরের দর্শনীয় স্থান, মেদিনীপুরের মনীষীদের ছবি, বন- জঙ্গল, মেদিনীপুরের কালচার সংক্রান্ত ছবি দিলে আরও ভাল হয়’। শহরের আরেক বাসিন্দা বিদ্যুৎ বসুর আবেদন, ‘লোগোয় কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। মেদিনীপুরের হেরিটেজের বিষয়টি থাকা দরকার। ট্যুরিস্ট স্পটের বিষয়টি থাকা দরকার’। পাথরার ইয়াসিন পাঠানের আবার আর্জি, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্য বিদ্যাসাগর বা ক্ষুদিরামের ছবি রাখলে বোধহয় মানানসই হত।’’
এর আগে রাজ্যের নিজস্ব লোগো প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা প্রকাশ হয়েছেও। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের যে নিজস্ব লোগো প্রকাশ হয়েছে, তার মাথায় রয়েছে অশোকস্তম্ভ। আর নীচে লোগোর মাঝখানে রয়েছে বিশ্ববাংলার থিম। এই লোগোর ডিজাইনে অবদান রয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীরই। রাজ্যের লোগোটি তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। রশ্মিও সংস্কৃতিপ্রেমী বলেই পরিচিত। জেলায় এসেই জেলার নিজস্ব লোগো প্রকাশে উদ্যোগী হলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy