Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
Mamata Banerjee

বিধি ভেঙে মিটিং-মিছিলে ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি মমতার

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে একাধিক দাবি-দাওয়া বা প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে লকডাউনের মধ্যেই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ০৪:৪৭
Share: Save:

লকডাউনের বিধি ভেঙে মিছিল-মিটিং করলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘কিছু কিছু রাজনৈতিক দল গায়ের জোরে আইন ভাঙছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনমতো ব্যবস্থা হবে।’’ এই সূত্রেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ বার ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের কর্মসূচিতেও জমায়েত করবে না তৃণমূল। কী ভাবে ওই কর্মসূচি পালিত হবে আগামী ৩ জুলাই দলীয় বৈঠকে তা ঠিক করবে তৃণমূল।

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে একাধিক দাবি-দাওয়া বা প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে লকডাউনের মধ্যেই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস। আমপান-পরবর্তী সময়ে ত্রাণে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে সেই সব কর্মসূচি আরও বেড়েছে। নাম না করে এ দিন তাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের কথা না শুনে কেউ কেউ নিজের ইচ্ছেমতো মিছিল, মিটিং করছেন। আইন ভাঙছেন আবার তার জন্য ব্যবস্থা নিলে ভাঙচুর করছেন!’’ এই প্রসঙ্গেই দলের ‘শহিদ দিবস’ কর্মসূচির উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘২১শে জুলাই আমাদের সব থেকে বড় কর্মসূচি। অন্য বারের মতো এ বার জমায়েত করতে পারব না। কী ভাবে কর্মসূচি পালন হবে, তা ঠিক হবে দলীয় বৈঠকে।’’

বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, ‘‘দিল্লি, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশে কী হচ্ছে? এফআইআর করা হচ্ছে। আর এখানে করা যাবে না! আইন সব জায়গায় এক।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের দলের লোকেদের চুরি আটকাতে পারছেন না আর যারা চুরির প্রতিবাদ করছে, তাদের মুখ বন্ধ করতে চাইছেন! ওই জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমরা কিন্তু প্রথম থেকে বাইরে কর্মসূচি নিইনি, বরং সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার কথা বলেছিলাম।’’

মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘অন্য সব দলের চেয়ে আমরা সব চেয়ে বেশি বিধি মেনে কর্মসূচি নিয়েছি। ভিডিয়ো ক্লিপ বা ছবি দেখলেই সেটা বোঝা যাবে। আমরা বিধি ভাঙার পক্ষে নই। কিন্তু ত্রাণে দুর্নীতির প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ মানুষ যে বাধ্য হয়ে বিক্ষোভে নামছেন, সেখানে কী ভাবে বিধি মানা সম্ভব?’’ প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘আমরা বিধি মেনেই কর্মসূচি নিয়েছি। কিন্তু রাস্তায় কি লকডাউনের নিয়ম প্রকৃত অর্থে মানা হচ্ছে? দোকানপাট, অফিস-কাছারি খুলে যাওয়ার পরে মানুষ তো রাস্তায় বেরোবেনই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy