Advertisement
E-Paper

চা-বাগানের জমি বাণিজ্যিক কাজে লিজ দিচ্ছে রাজ্য, নবান্নে সিদ্ধান্ত ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, দিলেন শর্তও

রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কালচিনিতে জনসভা করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চা বাগানগুলি বন্ধ করে তা শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী চা বাগান নিয়ে তাঁর সরকারের নতুন নীতি সমানে আনলেন।

চা বাগান নিয়ে রাজ্য সরকারের নতুন নীতির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চা বাগান নিয়ে রাজ্য সরকারের নতুন নীতির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:২৫
Share
Save

শর্তসাপেক্ষে চা বাগানের জমি লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি উত্তরবঙ্গে ছ’টি চা বাগানের জমি লিজে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। মমতা বলেন, ‘‘ছ’টি ধুঁকতে থাকা চা বাগানকে তিন বছরের জন্য লিজে দেওয়া হচ্ছে। লিজ দিলে চা বাগানের কর্মীরা উপকৃত হবেন। ভাল ভাবে চালাতে পারলে ৩০ বছরের জন‍্য দেওয়া হবে। অনেক চা বাগান আছে, যেখানে না হয় চা, না অন্য কিছু, সেগুলো পাট্টা হিসাবে দেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত রবিবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কালচিনিতে গিয়ে জনসভা করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চা বাগানগুলি বন্ধ করে তা শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। আর সেই সভার ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রী চা বাগান নিয়ে তাঁর সরকারের নতুন নীতি সমানে আনলেন।

তবে নাম না করে মমতা আক্রমণ শানান বিরোধী শিবিরকেও। তিনি বলেন, “কিছু ভূতুড়ে দল এই মিথ্যে প্রচার করছে। চা বাগানের জমি আইনে কোনও বদল আনা হচ্ছে না। কোনও চা বাগানে যদি উদ্বৃত্ত জমি থাকে তবে সেই জমিতেই বাণিজ্যিক কাজকর্ম করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে একসঙ্গে ৩০ একর জমি কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘চা বাগানের যেখানে চা চাষ হয় না, সেই জমির ১৫ শতাংশ অংশে বাণিজ্যিক কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। টি টুরিজমে উৎসাহ দেওয়া হয়। যদি দেখা যায়, চা বাগান ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ স্থানীয়দের চাকরি দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের ঠিকমতো বেতন দেওয়া হচ্ছে, প্রভিডেন্ট ফান্ড-গ্র্যাচুইটি সব ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে তবে তাঁদের আবেদন জমা পড়বে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে। একটা এসওপি তৈরি করা হয়েছে। তার সঙ্গে সব মাপকাঠি মিলে গেলে তবে অতিরিক্ত জমিতে বাণিজ্যিক কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হবে।’’

তবে সতর্কবার্তা দিয়ে মমতা জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় চা বাগান বন্ধ করে বাণিজ্যিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তা হলে কর্মাশিয়াল কাজ বন্ধ করে, সেই জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। চা বাগানের জমি কাউকে দিয়ে দেওয়া যায় না।

CM Mamata Banerjee Mamata Banerjee Tea Garden

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}