সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশ এবং মণীশ শুক্লের অনুগামীদের মধ্যে। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল টিটাগড় এলাকা। সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশ এবং মণীশ শুক্লের অনুগামীদের মধ্যে। বিজেপি নেতা খুনে তদন্তে শুরু করেছে সিআইডি। এ দিন সিআইডি-র অফিসারেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ্য করেও ইট-পাথর-কাচের বোতল ছোড়া হয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। ফাটানো হয় কাদনে গ্যাসের শেলও। অলিগলিতে ঢুকে চলছে ধরপাকড়। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয়েছে বোমাবাজিও।
মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ টিটাগড় থানার অদূরে আততায়ীরা বাইকে করে এসে গুলি করে খুন করে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে। এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার না হওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। টিটাগড় থানার সামনেও বিক্ষোভ চলছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে এলাকায়। পরিস্থিতি আরও খারপ হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ দিকে এ দিন পাঁচ সদস্যের সিআইডি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রবিবার রাতে ভিড়ে ঠাসা বিটি রোডের উপর গুলি করে খুন করা হল ব্যারাকপুরের বিজেপির ‘বাহুবলী’ নেতা মণীশ শুক্লকে। সেই জায়গায় গিয়ে ভিডিয়োগ্রাফি করেন গোয়েন্দারা। রাস্তায় লাগানো সিসিক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখেন।
এক বিক্ষোভকারী জানান, থানার কাছে কী ভাবে বাইকে করে আসা দুষ্কৃতীরা খুন করে চলে গেলে? এত ক্ষণ পরেও কেন কাউকে গ্রেফতার করা গেল না? তার জাবাব দিতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে। খুব কাছ থেকে মণীশকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি করে আততায়ীরা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁর সঙ্গী গোবিন্দ। ময়না তদন্তের পর দেহ এলে বিভোক্ষ দেখানো হবে।
মণীশের অনুগামীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: রাজনীতি না পুরনো দুশমনি? রহস্য বাড়ছে মণীশ খুনে
এ দিন মণীশ শুক্লর দেহ ময়না তদন্তের জন্যে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। ময়না তদন্তের পর দেহ টিটাগড়ে পৌঁছলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা। সে দিকেও নজর রয়েছে পুলিশ কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy