ফাইল চিত্র।
চব্বিশ ঘণ্টাও পেরোয়নি! ফের রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের সংঘাত দেখা গিয়েছিল। শনিবার রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। টুইটে তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে আইনের শাসন নয়, ‘শাসকের আইন’ চলছে। দু’টি টুইটেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন। একটি টুইটে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও ট্যাগ করেছেন।
টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, গত অগস্ট মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় দফায় নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ করে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠির কোনও উত্তর তিনি পাননি। রাজ্যপালের আরও বক্তব্য, তাঁর সম্মতি ছাড়া নিয়োগ হওয়ার পরে তিনি নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং নিয়োগের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বলেন। কিন্তু তার কোনও উত্তর তিনি পাননি। সোনালিদেবীর নিয়োগের ‘পৃষ্ঠপোষকতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ’ (ক্লাসিক কেস অব পেট্রনেজ) বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের টুইটের জবাবে এ দিন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “রাজ্যপালের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। প্রতিদিন কোনও না কোনও বিষয়ে তিনি কথা বলেন। রাজ্যপালের যা অধিকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের যা আইন আছে সেই আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকার উপাচার্য নিয়োগের জন্য পাঠায়। সেখান থেকে রাজ্যপাল নাম ঠিক করবেন না, তিনি সেটা মেনে নেবেন। এটাই নীতি এবং রীতি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপাল তা যদি না করে থাকেন, তা খুবই পরিতাপের বিষয়।’’ রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে পার্থবাবুর মন্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল বারবারই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধিকারকে বঞ্চিত করে নিজেই চালাবার চেষ্টা করছেন। এ ভাল লক্ষণ নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy