বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে বাবুঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
বাবুঘাটে গোলমাল ঘটল মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ। আয়োজনের প্রস্তুতি দেখতে যাওয়া বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে বাবুঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। তার আগেই বাবুঘাটের বাজে কদমতলায় বিজেপির তৈরি মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ। এ হেন পরিস্থিতিতেও বিজেপি বিকেলের কর্মসূচি নিয়ে অনড়। দলের পক্ষে জানানো হয়েছে সাড়ে ৫টা নাগাদ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে গঙ্গা আরতি কর্মসূচি হবে। ফলে আরও সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির গঙ্গা পুজোর কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বাবুঘাট এলাকায় ভিড় রয়েছে। সেখানেই কর্মসূচি বিজেপির। কিন্তু পুলিশের পক্ষে জানানো হয়েছে শহরে ট্র্যাফিক দুর্ভোগ হতে পারে বলে কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হোক। নাছোড় বিজেপি পাল্টা জানিয়েছে, অনুমতি না মিললেও দল পিছু হটবে না।
মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে লালবাজারের তরফে সোমবারই জানানো হয়েছে, কলকাতায় ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি জি২০ সম্মেলনের কর্মসূচি চলছে। পুলিশের একটা বড় অংশ সেখানে ব্যস্ত থাকবে। ফলে এই দিনে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হয়ে গেলে নতুন করে এই কর্মসূচির জন্য অনুমতির আবেদন জানাতে বলেছে লালবাজার। কিন্তু সেই নির্দেশ যে বিজেপি মানতে নারাজ, তা জানিয়ে দেন সুকান্ত। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়। উত্তর বন্দর থানার পুলিশ দুপুর থেকে মঞ্চ খুলতে শুরু করে। তার আগে এলাকা থেকে বিজেপি ফেস্টুন, ব্যানার পুলিশ খুলে নেয়।
সজল এলাকায় পৌঁছলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সজল বলেন, ‘‘আরতি হবেই। এটাই শুধু জেনে রাখুন। আরতির সঙ্গে এই সরকারের বিসর্জন হতে পারে। সেটা হয়ে যাবে কি না, বলতে পারছি না।’’ ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে সজল আরও বলেন, ‘‘জি২০ হলে গঙ্গাসাগর হতে পারে। নজরুল মঞ্চে দিদির সভা হলে তো অনুমতির অভাব হয় না। তবে পুজোয় কেন হবে না। হবেই। সেনার অনুমতি রয়েছে। আগাম ২০ হাজার টাকা দেওয়া রয়েছে। আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা চাই না।’’ এর পরেই সজলকে আটক করে পুলিশ। বাধা দিলে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিজেপির এই কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে দলের নমামি গঙ্গে শাখা। সেই শাখার আহ্বায়ক গোপাল সরকার সজলকে আটক করার পরে বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচি হবেই। আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ বেঁধেছিলাম। পুলিশ জোর করে সেটা খুলে দিয়েছে। কিন্তু গঙ্গা পুজো আটকানো যাবে না। রাজ্য সভাপতি আসবেন। প্রদীপ জ্বেলে হলেও আমরা পুজো করবই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy