Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ডালিম শেখ খুনের তদন্তে সিআইডি

পুলিশের দাবি, মোসাম্মদ শেখ নামে এক ভাড়াটে খুনি গুলি চালিয়েছিল। তাকে বরাত দিয়েছিল কাটোয়ার কবীর হোসেন। সে এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি পুলিশের। কবীর ও মোসাম্মদ গ্রেফতার হয়েছে। তবে রহমতুল্লা ও বিকাশ এখনও অধরা।

ডালিম শেখ।

ডালিম শেখ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০৩:১৪
Share: Save:

মঙ্গলকোটের দলীয় নেতা ডালিম শেখের খুনিরা যেন ছাড় না পায়, জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দু’দিনের মধ্যে, শনিবার সেই খুনের মামলার তদন্তভার গেল সিআইডি-র হাতে।

দিন দশেক আগেই গুলিতে খুন হন মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সানাউল্লা শেখ ওরফে ডালিম। নিহতের পরিবারের তরফে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন বলে দাবি করা হয়।

মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য বিকাশ চৌধুরী-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, মোসাম্মদ শেখ নামে এক ভাড়াটে খুনি গুলি চালিয়েছিল। তাকে বরাত দিয়েছিল কাটোয়ার কবীর হোসেন। সে এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি পুলিশের। কবীর ও মোসাম্মদ গ্রেফতার হয়েছে। তবে রহমতুল্লা ও বিকাশ এখনও অধরা।

পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালের কাছে এই ঘটনার সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, সেই আবেদন সিআইডি-র দফতরে পাঠানো হলে তারা তদন্তভার নিতে রাজি হয়। পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিআইডি-র হাতে মামলা তুলে দেওয়া হয়েছে।’’

শনিবার বর্ধমান থেকে সিআইডি-র পাঁচ সদস্যের একটি দল মঙ্গলকোট থানায় গিয়ে কবীরকে জেরা করে। পরে কবীরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে তারা। সিআইডি-র এক আধিকারিক জানান, মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্রও নেওয়া হয়েছে। বিধায়ক সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য, ‘‘সিআইডি-তদন্তে প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়বে।’’ ডালিমের স্ত্রী লাভলি বিবি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা আছে। তাঁর সিদ্ধান্তে ভালই হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE