হুগলির ভদ্রেশ্বর-তেলেনিপাড়া ফেরিঘাটে জেটি ভেসে যাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার আরও সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেল। সরকারি হিসেবে এখনও নিখোঁজ আট জন। এই পরিপ্রেক্ষিতে জলপথে দুর্ঘটনা এড়াতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা চূড়ান্ত করতে এ দিন নবান্নে রাজ্যে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকের পরে পরিবহণসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সরকারের খাতায় নথিভুক্ত নয়, এমন আধাযান্ত্রিক ভুটভুটিই বিভিন্ন দুর্ঘটনার বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই আধাযন্ত্রচালিত বেআইনি নৌকাগুলি ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে। ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, বেআইনি ভুটভুটি সংস্কার করে যাঁরা আইনসম্মত করে নিতে চাইবেন, তাঁদের এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জলধারা’,’’ বলেন পরিবহণসচিব। সরকারি সাহায্যে এই প্রকল্পে ভুটভুটিগুলিকে পুরোপুরি যন্ত্রচালিত করা হবে।
পোক্ত করা হবে জেটিগুলিকেও। পরিবহণসচিব জানান, রাজ্যে প্রায় ৭০০ জেটি রয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১৫০ জেটি সংস্কার করবে সরকার। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে জেট-পিছু ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ৬৮টি জেটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই সব জেটির বাঁশ, কাঠ বা কঞ্চির কাঠামো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। জেটিগুলির উপরে নজরদারি চালাবে পরিবহণ দফতর। জেটির কাঠামো কী ভাবে পাকাপোক্ত করা যায়, তা ঠিক করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। জেটিতে ভিড় সামলাতে সব সময়েই হাজির থাকবে পুলিশ।
তেলেনিপাড়ায় এ দিন যাঁদের দেহ মেলেছে, তাঁরা হলেন রামজি সাউ (৩৭), সাহাদাদ হোসেন (২২), নবীন দাস (২৩), সাহিদ হোসেন (১৮), সর্মদা সাবরিন (১৭), দেবাশিস আচার্য (৫৬) এবং সঞ্জয় সাউ (২৮)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy