মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই হিন্দিভাষীদের পবিত্র উৎসব ছটপুজো। এ দিন কলকাতা বন্দর এলাকার ছটপুজোয় অংশ নিতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতা পুরসভায় এ কথা জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। রবিবার, এই উৎসবের দিনেই গুজরাতের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। গোটা দেশ এই মূহূর্তে ক্রিকেট জ্বরে আক্রান্ত। কলকাতার মেয়র ফিরহাদও ফাইনাল ম্যাচ দেখতে চান বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন। তাঁর ক্লাব চেতলা অগ্রণীতে জায়ান্ট স্ক্রিনে ফাইনাল ম্যাচ দেখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছটপুজোর কর্মসূচিতে যোগদান করবেন তিনি। পাশাপাশি, কলকাতা বন্দর এলাকার যে সমস্ত জায়গায় ছটপুজো অনুষ্ঠিত হয়, সেখানেও যেতে পারেন মেয়র। তার পর যত দ্রুত সম্ভব চেতলা অগ্রণীতে ফিরে খেলা দেখতে চান ফিরহাদ।
প্রতি বছরই মুখ্যমন্ত্রী বন্দর এলাকার তক্তাঘাট ও দহিঘাটের ছটপুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যান। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন কেবলমাত্র তক্তাঘাটের ছটপুজোর অনুষ্ঠানেই। দহিঘাটের ছটপুজোর অনুষ্ঠানকে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি থেকে বাদ রাখা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী না গেলেও, তাঁর বদলে ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন স্থানীয় বিধায়ক ফিরহাদ। যে হেতু কলকাতা বন্দরের বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি তিনি কলকাতার মেয়র এবং পুরমন্ত্রীও, তাই কলকাতা শহরে ছটপুজোর আয়োজনের দায়িত্ব তাঁকেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার কলকাতা পুরসভায় আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ জানিয়েছেন, কলকাতায় অনেকগুলি পুকুরঘাট তৈরি রাখা হয়েছে ছটপুজোর জন্য। কলকাতা পুরসভার ১১১টি পুকুরে ছটপুজোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) আরও ৪২টি পুকুরঘাটকে পুজোর জন্য প্রস্তুত রেখেছে। সঙ্গে অতিরিক্ত ২৩টি ঘাটও তৈরি রাখা হয়েছে। প্রশাসনিক নজরদারির পাশাপাশি, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ঘাটগুলিতে। পুজোকে কেন্দ্র করে যাতে দূষণ না হয়, সে বিষয়েও সজাগ রয়েছে কলকাতা পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy