Advertisement
১১ অক্টোবর ২০২৪
TMC

শান্তনু-কুন্তলের জেলার নেতাদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক ডাকলেন দলনেত্রী মমতা, কী বার্তা দেবেন?

২০ এপ্রিল হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। হুগলি জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Chief minister Mamata Banerjee will meet with the Hooghly district TMC leadership in 20 April at Kalighat

বীরভূমের পর হুগলিতে নজর মমতার। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৪১
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক শিবিরে। সেই তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। একে একে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পর্যায়ে ২০ এপ্রিল হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিনই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জনসভার কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই এই বৈঠকে সম্ভবত তিনি হাজির থাকতে পারবেন না।

২৪ মার্চ কালীঘাটে বীরভুম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এ বার পালা হুগলি জেলা তৃণমূলের। ২০ তারিখ দুপুর ২টোয় হুগলি জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে কলকাতার মেয়র তথা হুগলি জেলা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিমকেও।

প্রসঙ্গত, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ বহিষ্কার হওয়ার পর এই প্রথম একক ভাবে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। শান্তনু ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। আর কুন্তল ছিলেন যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন তাঁরা। দলেরই একাংশের মতে, অপসারিত হলেও, এই দুই নেতা তৃণমূল নেতৃত্বের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাই এই বিষয় থেকে জেলা নেতৃত্বকে বেরিয়ে আসতে বৈঠকে বেশ কিছু পরামর্শও দিতে পারেন মমতা।

এ ছাড়াও এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে হুগলি জেলার ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নিয়েও। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক তথা ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নওশাদ সিদ্দিকির ৪১ দিনের কারাবাসের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। কারণ, নওশাদের কারবাসকে ভাল ভাবে নেয়নি ফুরফুরা শরিফ। ফলস্বরূপ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নওশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এর পরেই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ফিরহাদকে সরিয়ে আদি সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে দায়িত্ব দেন মমতা। সরকারের সঙ্গে ফুরফুরার ‘দূরত্ব’ ঘোচাতে তার পর থেকেই বার বার ফুরফুরা শরিফে গিয়ে সহযোগিতার বার্তা দিয়ে এসেছেন তপন। বৈঠকে ফুরফুরার সঙ্গে দলের সমন্বয় রক্ষার বিষয়েও বিধায়ক তপনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মমতা।

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE